Share this link via
Or copy link
গভীর রাতে নরেন্দ্রপুর থানা (Narendrapur) এলাকার ঢালুয়া নবপল্লিতে বোমাবাজি, এলাকায় আতঙ্ক। শুধু বোমাবাজি (Bombing) নয় সাত সকালে রাস্তা থেকে উদ্ধার তিনটি তাজা বোমা। স্থানীয়রা পুলিসকে খবর দিলে বোমাগুলো উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে নরেন্দ্রপুর থানা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার (Tuesday Night) রাত আড়াইটে-পৌনে তিনটে নাগাদ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ডে এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় থাকা সিসিটিভিতে (CCTV) ধরা পড়েছে বোমাবাজির চিত্র। প্রথম দিকে বিশ্বকাপ ম্যাচের পর আতসবাজি ফাটছে, এমনটা মনে করলেও শব্দের তীব্রতায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। ভয়ে সে সময়ে বাইরে না বেরোলেও ভোরের দিকে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে স্থানীয়রা দেখেন স্কুল সংলগ্ন যাতায়াতের রাস্তাতেই পড়ে তিনটি তাজা বোমা।
তাঁরাই উদ্যোগ নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দিলে, পুলিস এসে জলেরভ বালতিতে ডুবিয়ে বোমাগুলো নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক। শিশু উদ্যান এবং স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এভাবে বোমাবাজি এবং তাজা বোমা উদ্ধার নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারির দাবি তুলেছে তাঁরা।
তাঁরা জানান, এই এলাকায় বাচ্চাদের ফিজিক্যাল ফিটনেস ক্যাম্প চলে, বয়স্করা প্রাতঃ ভ্রমণ করেন। এলাকা বরাবরই শান্তিপূর্ণ, শিক্ষিত মানুষের বাস। সেখানে এই ঘটনায় আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। তাঁদের অভিযোগ, নেশার ঠেক, বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্য এবং সিন্ডিকেটরাজ অবাধে চলছে। দুর্গাপুজোর সময় এক অপ্রীতিকর ঘটনার এখনও সুরাহা হয়নি। তারপরেই এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, এর পিছনে রাজনীতি না বিরোধী চক্রান্ত আমাদের জানা নেই। অবিলম্বে শান্তি ফিরে আসুক এটাই চাই।
যদিও পুরভোটের আগে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে বিরোধীরা। এদিন দাবি করেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি জানান, দুষ্কৃতীদের রেয়াত করা হবে না। পুলিস আইনের পথেই কাজ করবে। স্থানীয় বিধায়ককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, 'এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফসল। বাংলায় প্রতিদিন বোমাবাজিতে শিশুরা জখম হয়েছে, যত পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসবে, এই ঘটনা আরও ঘটবে। পুলিস কিছুই করবে না।'
এদিকে, কয়েকদিন আগেই নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ শান্তিপার্কে বোমাবাজির জেরে পাঁচ নাবালকের আহত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেই আতঙ্কের রেশ না কাটতে না কাটতেই ঢালুয়া নবপল্লির এলাকার এই ঘটনায় চাপা উত্তেজনা এলাকায়।