Share this link via
Or copy link
শেষ পৌষ মেলা (poush mela) হয়েছিল তখন সালটা ২০১৯। এরপর থেকেই পৌষ মেলা নিয়ে শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) টালবাহানা দেখাতে শুরু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati Authority)। প্রথমে করোনা (covid—19) মহামারির জন্য এবং পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের গা ছাড়া ভাব। এই দুয়ের ফাঁসে আর দেখা যায়নি শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। তবে এবার পৌষ মেলা বাঁচানোর জন্য বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, হস্তশিল্প সমিতি এবং বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটি।
করোনাকালের পর এবছর যখন সমস্ত কিছু স্বাভাবিক, সে সময়ও পৌষ মেলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর জেরে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটির তরফ থেকে বুধবার বিশ্বভারতীর বলাকা গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কমিটির সদস্যদের দাবি, উপাচার্য এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তিনিকেতন থেকে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা তুলে দিতে চাইছে। কিন্তু তাঁরা তা হতে দেবেন না। পৌষ মেলা বাঁচানোর দাবিতে যেমন এদিন বিক্ষোভ সামিল হন এই মঞ্চের সদস্যরা, ঠিক সেইরকমই তাঁরা ২০১৯ সালে যে ডিপোজিট মানি দিয়েছিলেন ব্যবসা করার জন্য সেই টাকা ফেরতের দাবিও তোলেন। কারণ, সেই টাকার বিপুল অংশ এখনও পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। যদিও সেই টাকা পৌষ মেলার পরেই ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে, তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয় পৌষ মেলা করার জন্য যারাই এগিয়ে আসবেন তাঁদেরই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁরা।
পাশাপাশি, মেলার আয়োজনকে ঘিরে বোলপুর পুরসভার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছে। বোলপুর পুরসভার তরফ থেকে তাদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তারা মেলার আয়োজন করতে আগ্রহী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পূর্বপল্লীর মাঠে মেলার আয়োজন করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য পুরসভার তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এখন সেই চিঠির উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বোলপুর পুরসভা।