Share this link via
Or copy link
মানুষ কি ক্রমেই নৃশংস- অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে? দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার কাণ্ডের পর ফের এই প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসছে বারুইপুর-কাণ্ডে (Baruipur Murder)। কেন এই প্রশ্ন? বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারুইপুর-মল্লিকপুর রোডের এক পানাপুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মী (Ex Navy Man) উজ্জ্বল চক্রবর্তীর খণ্ডিত দেহ (Chopped Body)। মাথা থেকে পেট পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হলেও, পাওয়া যাচ্ছিল না নীচের অংশ। উদ্ধার হওয়া দেহাংশে আবার ছিল না দুটো হাত। ইতিমধ্যে ১৪ নভেম্বর থেকে প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এই মর্মে স্ত্রী এবং ছেলে নিখোঁজ ডায়রি (Missing Diary) করেন থানায়।
সেই ভিত্তিতে তদন্তে নামে বারুইপুর জেলা পুলিস। অবশেষে দেহ উদ্ধারের একদিন পর সেই খুনের কিনারা করল পুলিস। শনিবার এই খুনের ঘটনায় মা এবং ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অর্থাৎ নিহত নৌ সেনাকর্মীর স্ত্রী এবং ছেলে গ্রেফতার। জানা গিয়েছে, ১৪ নভেম্বর রাতে স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে তীব্র বাক-বিতণ্ডা হয় উজ্জ্বলবাবুর। তারপরেই আক্রোশে গলা টিপে ঠাণ্ডা মাথায় তাঁকে খুন করে ছয় টুকরো করে এলাকার বিভিন্ন জঙ্গল এবং পানাপুকুরে ফেলা হয়েছিল।
পুলিসি জেরায় ধৃতরা জানান, নিত্যদিন স্ত্রী-পুত্রকে মানসিক অত্যাচার করতেন উজ্জ্বলবাবু। ১৪ নভেম্বর রাতে সেই কলহ তীব্র হওয়ায় খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মা-ছেলে। এদিন প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মীর ছেলেকে নিয়ে নিখোঁজ দেহাংশের জন্য তল্লাশি চালায় পুলিস।
এই ঘটনায় দিল্লি শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া দেখছে অনেকে। এভাবেই বান্ধবী শ্রদ্ধাকে খুন করে দেহের ৩৫ টুকরো করে দিল্লির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা।