২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Road: কোথাও শুধু ফলক, কোথাও প্রতিশ্রুতি! উত্তর-দক্ষিণ পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেহাল রাস্তা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-27 15:23:11   Share:   

পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাস্তার বেহাল অবস্থা। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি হোক কিংবা দক্ষিণের সুন্দরবনের ক্যানিং কিংবা রায়দিঘি; বেহাল পথ (Road Condition) পেরিয়েই নিত্য যাতায়াত স্থানীয়দের। শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাওয়াখাড়ি এলাকা। বহুদিন ধরেই বেহাল রাস্তা। আর সেই রাস্তা তৈরির জন্য উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। পথের ধারে লাগানো মস্ত এক ফলক।

তাতে স্পষ্ট লেখা কাজ কবে শুরু হবে। কত শ্রম দিবস প্রয়োজন রাস্তার কাজ শেষ করতে। কিন্তু ফলকই সার। এখনও রাস্তার কাজ শুরুই হয়নি। শুরু তো দূর অস্ত, রাস্তা নির্মাণের জন্য পাথরকুচিও পড়েনি। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে জনমানসে। স্থানীয়দের কথায়, মেঠো রাস্তায় পথ চলা দায়। অল্প বৃষ্টিতে জল জমে। স্বাভাবিকভাবেই রাস্তা তৈরির ফলক পড়তেই খুশির আবহে গা ভাসিয়েছিলেন সকলেই। কিন্তু সময়ের মতো সময় পেরিয়েছে শুধুই৷ আজও শুরু হয়নি কাজ।

দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও কাজ শুরু না হওয়ায় গ্রামবাসীদের প্রশ্ন আদৌ কি রাস্তার কাজ হবে? নাকি ফলকই সার? স্থানীয়রা জানান,'বৃষ্টির সময় পোকামাকড় ঢোকে। বাড়িতে জল ঢুকে যায়। অনেকদিন ধরে শুনছি রাস্তা হবে, কিন্তু এখনও কোনো কাজ শুরু হয়নি।'

একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিং কাঠপোল থেকে দক্ষিণ নিকারীঘাটা ৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা, খানাখন্দ অবস্থায় পড়ে। হেলদোল নেই প্রশাসনের, সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। নিত্যদিনে পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। তবে রাস্তা মেরামত হয়নি। কোথাও রাস্তার চাঙর ভেঙেছে। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস প্রতিশ্রুতি তো দিয়েছেন। রাস্তা কবে মেরামত হবে সেই অপেক্ষায় গ্রামবাসীরা।

স্থানীয়রা জানান,'গত ৬ বছর ধরে রাস্তা খারাপ। ঠিকমতো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। প্রায়দিন কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটছে রাস্তায়। গ্রাম পঞ্চায়েত বিডিও-কে জানিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।'

অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের দাবি বেহাল রাস্তা সংস্কার। ইটের রাস্তা রূপ দেওয়ার কথা ছিল কংক্রিটের রাস্তার। কিন্তু সেই কংক্রিটের রাস্তার কাজ শুরু হলেও সুসম্পন্ন হয়নি ১৮০০ মিটার ‌জেলা পরিষদের রাস্তার কাজ। মাত্র ১০০ মিটার কংক্রিটের ঢালাইয়ের কাজ হলেও বাকি রাস্তাটাই পড়ে রয়েছে ইটের। এব‌রো-খেব‌রো, খালাখ‌ন্দে ভরা ইটের হাড় বেরিয়েছে।


রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। কালিবাজার থেকে শান্তিপুর মোড় পর্যন্ত বেহাল এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত বহু মানুষের। হাইস্কুল,প্রাইমা‌রি,সমবায় স‌মি‌তি, ব্যাঙ্ক এমন‌কি র‌য়ে‌ছে গ্রা‌মের বড় বাজার। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু কোথায় কী! মাত্র কালিবাজার থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত হয়েছে ঢালাই রাস্তা।

আর বাকিটাই পড়ে রয়েছে ইট কোথাও আবার মাটি। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ইঞ্জিন ভ্যান, মোটরসাইকেল, সাইকেল, টো‌টোগা‌ড়ি যাতায়াত করে। স্কুল পড়ুয়া থেকে মুমূর্ষু রুগী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পথচলতি মানুষ বহু সমস্যায় পড়েন।

স্থানীয়রা জানান,'কালিবাজার থেকে শান্তিপুর অবধি রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু সামান্য ১০ হাত রাস্তা করতে পুরো টাকাটাই বরাদ্দ করেছে। মেরামতিরর নাম করে সামান্য সাদা বালি ছড়িয়ে রেখে চলে গিয়েছে। কেউ বাইক নিয়ে গেলে অন্য আরেকজন হেঁটে পর্যন্ত যেতে পারে না।'


Follow us on :