২৮ মার্চ, ২০২৪

Deadbody: গ্রামবাসীদের ততপরতায় অবশেষে উদ্ধার আজিজুলের পচাগলা দেহাবশেষ
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-09 10:23:54   Share:   

অবশেষে খোঁজ মিললো আজিজুল মণ্ডলের। হরিণঘাটার (Haringhata) মোল্লাবেলিয়া পঞ্চায়েতের মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ওরফে সুশান্ত পাল বেশ কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবারই উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর পচাগলা দেহাবশেষ ও কঙ্কাল। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা তাঁর খোঁজ চালায় পুলিস (police)। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর মেয়েদের দেখানো জায়গায়। রাতে ওই বাড়িরই সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় আজিজুলের কঙ্কাল (skeleton)। মূলত পাড়া-প্রতিবশীরাই উদ্ধার করে এই পচাগলা দেহাবশেষ। রহস্যজনক মৃত্যুর (death) উদ্ঘাটন করে গ্রামবাসীরাই।

মৃতের মেয়েদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস বাড়িতে তল্লাশি করার পরেও দেহ না মেলায় ছেড়ে দেওয়া হয় অভিযুক্ত হামিদা বিবিকে। হামিদা বিবি বাড়িতে আসার পরে গ্রামবাসীরা তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়। তারপর গ্রামবাসীদের তৎপরতায়, সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় সেই মৃত পচাগলা দেহ। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর পুলিসকে জানানো হলেও পুলিস আসতে দেরি করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এরপরই গ্রামবাসীরা পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

উল্লেখ্য, মাস কয়েক ধরে নিখোঁজ ছিলেন আজিজুল। সোমবার তাঁর দুই মেয়ে রূপালি ও মুসলিমা হরিণঘাটা থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ করেন, তাঁদের মা হামিদা বিবি ও মায়ের প্রেমিক অসীম ঘোষ বাবাকে খুন করে গুম করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হরিণঘাটা থানার পুলিস অভিযান চালায় মঙ্গলবার। অবশেষে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়িতেই আজিজুলের পচাগলা দেহাবশেষ।

গ্রামবাসীরা জানান, মঙ্গলবার হামিদা বিবিকে বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই মুহূর্তে তাঁরা বাড়িতে ঢুকে রান্নার জ্বালানি রাখার ঘরের ভিতরে একটি জলের চেম্বার দেখতে পান, সেটির মুখ ঢাকা অবস্থায় ছিল। সন্দেহ হওয়ায় ওই ঢাকনা সরাতেই দেখতে পাওয়া যায় আজিজুলের দেহ। তড়িঘড়ি পুলিস প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু তারা ঠিক সময় এলে হাজির হয়নি। কিছু সময় পর হরিণঘাটা থানার পুলিসের উপস্থিতিতে মৃত ব্যক্তিকে চেম্বার থেকে তোলা হয়। চেম্বার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়, তৎক্ষণায় উপস্থিত হয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক, ডিএসপি ও এসপিও। ওই মৃত ব্যক্তিতে চিহ্নিতকরণ করার জন্য মৃত ব্যক্তির দুই কন্যাকেও ডাকা হয়। চিহ্নিতকরণের পর মৃতদেহটি নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

এই ঘটনায় পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাদের কাছে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন অভিযুক্ত হাবিদা বিবিকে ছেড়ে দেওয়া হল? কেন তারা ভালো করে তল্লাশি করলো না? তবে পুলিসের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 


Follow us on :