২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Theft: পুজোর শুরুতেই শিক্ষকের বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি, আতঙ্কিত এলাকাবাসীরাও
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-30 10:18:13   Share:   

ফাঁকা বাড়ি পেয়ে ভর সন্ধ্যায় একের পর এক ঘরের তলা এবং আলমারি ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি (theft) স্কুল শিক্ষকের (teacher) বাড়িতে। নগদ ৬০ হাজার টাকা সহ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পুজোর মুখে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত শিক্ষকের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে তদন্তে হাবড়া থানার পুলিস (police)।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায় ঘটনাটি হাবড়া (Habra) থানার আটুলিয়া এলাকায় ঘটে। আটুলিয়া হাই স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক রবিউল ইসলাম, রোজকারের মতই বৃহস্পতিবারও তিনি স্কুলে যান। পরিবার সূত্রে খবর, গত তিন মাস ধরে শিক্ষকের স্ত্রী বাড়িতে নেই। তিনি রয়েছেন তাঁর বাপের বাড়িতে। শিক্ষক স্কুলে গেলে বাড়ি তালা বন্ধ অবস্থাতেই থাকে।

রবিউল বাবু জানিয়েছেন, এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে সহ-শিক্ষকরা সবাই মিলে প্রধান শিক্ষককে দমদমে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসতে যান। রাতে বাড়ি ফিরতেই প্রথমে দেখেন বাড়ির গ্রীলের তালা ভাঙা, তবে ঘরের ভেতর ঢুকতেই চক্ষু চড়ক গাছ। দেখা যায় ঘরের দরজাও ভাঙা। ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখেন একে একে সব আলমারির তালা ভাঙা এবং ঘরের মধ্যে লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে জামাকাপড়। আলমারির লকার ভেঙে নগদ ৬০ হাজার টাকা এবং প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সোনার গহনা নিয়ে পিছনের দরজা খুলে চম্পট দিয়েছে চোরের দল।

ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ভর সন্ধ্যায় এই এলাকায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষকের পরিবার থেকে প্রতিবেশীরা সকলেই। এক প্রতিবেশী তো বলেই ফেললেন, এতগুলো তালা ভেঙে, ঘরের দরজা ভেঙে, আলমারি ভেঙে প্রায় চার লক্ষ টাকার জিনিস খোয়া গিয়েছে এটা চুরি নয় এটা ডাকাতি। তিনি আরও বলেন, "এর আগে এমন ঘটনা এই এলাকায় ঘটেনি।  আমরা স্থানীয়রা সবাই আতঙ্কে আছি। প্রশাসন যাতে সঠিক তদন্ত করে তার দাবি রাখছি।"

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস প্রশাসন। শিক্ষকের পক্ষ থেকে রাতেই হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তে হাবরা থানার পুলিস।


Follow us on :