ফের জেল হেফাজতে(jail custody) অনুব্রতের দেহরক্ষী(body guard) সায়গল হোসেন। গরুপাচার-কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি(hearing) আগামী ১৮ আগস্ট। শুক্রবারের শুনানিতে সায়গলকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন (appeal)করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশকুমার। সূত্রের খবর, সায়গলকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার অনুব্রতকেও জেরা(interrogation) করা হবে বলে জানা গেছে।
সায়গল হোসেনের আইনজীবীর দাবি, সায়গলের ৫৭ দিন জেলে কেটেছে। এখনও সিবিআই চার্জ শিট(charge sheet) দিতে পারেনি। আর তিনদিন অর্থাৎ আগামী ৮ তারিখের মধ্যে চার্জ শিট না হলে জামিনের অধিকার থাকে। তার সঙ্গে সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা আরও বলেন যে, নতুন কোনও তথ্য সিবিআই পেশ করতে পারছে না। শুধু তদন্ত প্রভাবিত করার কথা বলে জেল কাস্টডি করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর ,এদিন সিবিআই- এর পক্ষ থেকে বহু নথি জমা করা হয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, বীরভূম সহ ১২ জায়গায় হানা দিয়ে প্রাপ্ত নথিতে সায়গলের যোগ পাওয়া গেছে। তার সঙ্গে আরও ১৪ টি জমির দলিল পাওয়া গেছে যেখানে অনুব্রত ও তার পরিবারের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। বীরভূমের মহম্মদ বাজারে এক বিশাল পেট্রোল পাম্পের হদিশও পাওয়া গেছে যেখানে সায়গল ও টুলু মণ্ডলের যোগসূত্র পাওয়া গেছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি প্রাপ্ত নথিতে আরও স্পষ্ট হয়েছে সায়গলের বাংলাদেশ-যোগ। তাঁর দাবি, সাধারণত বালি, পাথর, গরু, পেঁয়াজ ও চাল পাঠানো হত বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ওই পণ্য কিনে যে দাম দিতেন, তা সাদা টাকা হিসেবে গণ্য হত। এ ভাবে গরুপাচার-কাণ্ডের সমস্ত কালো টাকা(black money) সাদা করা হত বলে আদালতে দাবি করেছেন রাকেশ।