Share this link via
Or copy link
রক্ষকের উপরই হামলা! মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল এক পুলিস (police) কর্মীর, রক্ষা পাননি তাঁর স্ত্রীও। এলাকার দুষ্কৃতীদের দাবি মত চাঁদা এবং মদ কেনার টাকা (money) না দেওয়ায় পুলিস কর্মীকে বেধড়ক মারধর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) খেজুরি বিধানসভার নিজ কসবা গ্রামে।
জানা যায়, কসবা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় পুলিসকর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডল। বর্তমানে তিনি কোলাঘাট থানায় কর্তব্যরত। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে তাঁর বাড়িতে এলাকার কিছু দুষ্কৃতী সবসময় টাকা চাওয়া এবং মদ কেনার টাকা, পুজোর চাঁদা চাইতে আসে। তবে এবারের ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। সেদিনও তাঁর কাছে বেশ কিছু টাকা চায় রাজনৈতিক মদতপুষ্ট কিছু দুষ্কৃতী, এমনটাই অভিযোগ। রামকৃষ্ণবাবু তা দিতে অস্বীকার করলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে তাঁকে। তাদের কাছে এই চাঁদার কারণ জানতে চাইলে দীর্ঘক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রামকৃষ্ণবাবু ও তাঁর স্ত্রী বাড়ি ফিরে এলেও দুষ্কৃতীরা পেছন পেছন ধাওয়া করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
এরপর কিছু সময়ের মধ্যেই রামকৃষ্ণবাবুর বাড়ির পাশে পড়ে থাকা বাস ও লাঠি নিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি জ্ঞান হারান। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর চিৎকারেও প্রতিবেশীরা কেউ আসেনি সহযোগিতা করতে।
জ্ঞান ফিরতেই বাড়ির সদস্যরা তাঁকে নিয়ে যায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আহত পুলিসকর্মীর দাবি, এলাকার কিছু দুষ্কৃতীরা তাঁকে যখন তখন বিভিন্নভাবে টাকা পয়সা চেয়ে হুমকি দিত। তিনি দিতেন না বলেই এই ধরনের আক্রোশের শিকার হয়েছেন। তাঁর দাবি, "আমরা পুলিস কর্মী হয়ে যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি এবং যদি কোনওপ্রকার সহযোগিতা না পাই, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় রয়েছে, তাঁদের নিরাপত্তার কথা কে ভাববে?"
তবে পুলিস সূত্রে খবর, তাঁদের পারিবারিক বিবাদের জেড়েই এই ধরনের ঘটনা। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বা দুষ্কৃতীদের সম্পর্ক নেই।