Share this link via
Or copy link
দিনের পর দিন হাতির (elephant) তাণ্ডবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত দশটিরও বেশি বাড়ি (house) ও দোকানঘর (shop)। বন দফতর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিশেহারা গ্রামের মানুষ। ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির একটি গ্রাম।
জানা গিয়েছে, গ্রাম লাগোয়া এলাকা থেকেই শুরু হচ্ছে জঙ্গল। সপ্তাহ দুই আগে অন্য জঙ্গল থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক রেসিডেন্সিয়াল দাঁতাল হাতি এসে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করে এখানে। দিনের বেলায় হাতিটি জঙ্গলের ভিতরে থাকলেও রাতের অন্ধকার নামলেই হাতিটি খাবারের খোঁজে হানা দিতে শুরু করে লোকালয়ে। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একের পর এক বাড়ি। গতকাল রাতেও হাতিটি গ্রামে ঢুকে একটি ধানের আড়ৎ ও স্টেশনারি দোকানে হানা দেয়। ধান আড়তের দরজা ভেঙে, ধান খেয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করেছে। পার্শ্ববর্তী একটি স্টেশনারি দোকানের শাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে হাতিটি। রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই গা ঢাকা দেয় পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, দিনের পর দিন গ্রামে ঢুকে একের পর এক দোকান ও বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালালেও হাতির হানা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বন দফতর। গ্রামবাসীদের সামান্য তেল ও হুলা দিয়েই দায় সেরেছে বন দফতর। এই পরিস্থিতিতে অসহায়ভাবে চূড়ান্ত আতঙ্কে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, দ্রুত হাতিটিকে অন্যত্র সরানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বন দফতর।