ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে। বুথে পা রাখতেই কমিশন এবং পুলিসের বাধার মুখোমুখি হন তিনি। রবিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ২২ নম্বর ওয়ার্ড।
৬৮ নম্বর বুথের সামনেই সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কমিশনের আধিকারিক এবং বালুরঘাট থানার আইসি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, এটি তাঁর নিজের ওয়ার্ড। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে। ২০০ মিটারের মধ্যে প্রার্থী বা এজেন্ট না হওয়া সত্ত্বেও ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী দলবল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই তাঁরা লোকজন নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। যাতে কোনও রকম গণ্ডগোল না করতে পারেন। তবে তাঁরা বুথ থেকে অনেকটাই দূরে দাঁড়িয়ে আছেন বলে দাবি করেন। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিস তাঁকে বাধা দেয়। কিন্তু তৃণমূলকে না আটকালে তাঁরাও সরবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি আরও বলেন, দিলীপ ঘোষের মতো তাঁকেও নজরবন্দি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে লাভ কিছু হবে না। বালুরঘাটের আইসি-র অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার। তিনি তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছেন। পুলিস যদি দলমত নির্বিশেষে কাজ না করে, তাহলে রাজ্যের অবনতি অবধারিত বলে জানান তিনি।
তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী জানান, তৃণমূল কোনও জটলা করেনি। শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছিল। বিজেপি রাজ্য সভাপতি এসে উত্তেজনা বাড়ান।
অবশেষে সুকান্ত মজুমদারকে বুথের সামনে থেকে সরিয়ে দিল পুলিস।