Share this link via
Or copy link
চাকরি (job) না পেয়ে হতাশায় ভুগে অবশেষে আত্মঘাতী (suicide) এক যুবক। মর্মান্তিক এই ঘটনা বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়া থানার চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাপিলা গ্রামের।
জানা যায়, এই গ্রামের বাসিন্দা রাজু গাজী। শিয়ালদহ-বনগাঁ (Sealdah-Bangaon) শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন রাজু। ২০১৭ সালে টেটের ফর্ম ফিলাপ করার পর থেকেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষায় বসেছিলেন। সরকারি চাকরির অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে চলতি বছর ৮২ নম্বর পান ওই পরীক্ষায়। কিন্তু চাকরি পেতে দরকার ছিল ৮২.৫ নম্বর। প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হয়ে তিনি নিজের পরীক্ষা পত্র রিভিউয়ের জন্য দিয়েছিলেন। যদিও রিভিউয়ের ফল এখনও পাওয়া যায়নি। যা সম্পূর্ণটাই প্রসেসিংয়ের মধ্যে রয়েছে।
তবে একদিকে তাঁর বাড়িতে ক্যান্সার আক্রান্ত বাবা ইসরাইল গাজী ও অপারেশনে হওয়ার পর চিকিৎসারত মায়ের একমাত্র সম্বল ছিলেন রাজু। কোনও পথ না পেয়েই অবশেষে এই আত্মঘাতী, এমনটাই মনে করছে পরিবার। হঠাৎ তাঁর এরকম সিদ্ধান্তে একেবারে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। তাঁরই সহপাঠী তথা টেট পরীক্ষার্থী রিন্টু সমাদ্দার এই ঘটনার জন্য সরাসরি শাসক দলকে দায়ী করেছেন। শাসক দলের টালবাহানার জন্যই রাজু এই ঘটনা ঘটিয়েছে, দাবি তাঁর।
আগেও নদিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টেট পরীক্ষার্থীরা আত্মঘাতী হয়েছেন। এবার সেরকমই ছবি দেখা গেল বাদুড়িয়ায়। পরিবারের অবস্থা যেহেতু শোচনীয় একমাত্র চাষবাস করে তাঁর বাবা সংসার চালাতেন। কিন্তু বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় সেটাও করতে পারছেন না তিনি। যার জেরে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, কোনও সরকারি সাহায্য পাওয়া গেলে তাঁরা বেঁচে যেতেন।
যদিও চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শুভ্রা মল্লিকের প্রতিনিধি রবীন মল্লিক জানান, বরাবরই ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল রাজু। তাঁর চলে যাওয়ায় গোটা গ্রাম শোকাহত। তাঁর পরিবারে পাশে সমস্তরকমভাবে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।