Share this link via
Or copy link
তদন্তকারী সংস্থা অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিচ্ছে। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের রায়েও হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। এটা আদালতের নজরদারিতে তদন্ত। তাই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নামে ইডি-র সমন বা সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ কোনোটাতেই এখনই স্থগিতাদেশ নয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের। ফলে ইডি তদন্তের মুখে যে পড়তেই হচ্ছে অভিষেককে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। (ডিভিশন বেঞ্চে কার্যত জোর ধাক্কা তৃণমূল সাংসদের। ) কিন্তু, একই সঙ্গে বিচারপতির প্রস্তাব, ১২ অক্টোবরের মধ্যে হাজিরা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত তথ্য দিয়ে দিন। আরও তথ্যের প্রয়োজন হলে আরও কিছুদিন সময় দিতে পারে ইডি। এটাও হতে পারে, হাজিরার আগে সব তথ্য পাঠিয়ে দিতে পারেন তিনি ও পরে হাজিরা দিতেই পারেন। পাশাপাশি, ইডি-কেও চরম ভর্ৎসনা করে বিচারপতি জানান, অর্ডার শুধু বলে যে সম্পদ প্রকাশ করুন। ব্যালেন্স শিট-এ গিয়ে ইডি-র খুঁজে বের করা উচিত ছিল, কী সম্পত্তি অর্জিত হয়েছে। আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে একেবারেই অযোগ্য তদন্তকারী সংস্থা। তারা ১৯ মাস ধরে কী করছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত হতে পারেন না।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও ও ডিরেক্টরদের সম্পত্তির হিসেব চেয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই রিপোর্ট ইডি জমা দিলেও তা দেখে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। ফের ১০ তারিখ রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। পাশাপাশি, ৩ অক্টোবর ইডি অভিষেককে তলব করেছিল, সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনও ব্যাঘাত যাতে না হয়, তা ইডি-কে নিশ্চিত করতে হবে বলেও নির্দেশ ছিল বিচারপতি সিনহার। তবে হাজিরা এড়িয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অভিষেক।
মামলার শুনানিতে বুধবার আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, আগামী ৯ তারিখ অভিষেককে ডাকা হয়েছে ইডি দফতরে। বিচারপতির প্রশ্ন, অভিষেকের ভয় কিসের? তাঁর সম্পত্তির হদিস তদন্তকারী সংস্থাকে দিতে অসুবিধা কোথায়? তাঁর অর্জিত সম্পত্তি, তাঁর উপার্জনের ফলে হলে অসুবিধা কোথায়? সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ভুল নেই। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনও নেই বলেই মনে করছে আদালত। অর্থের উৎস খুঁজে বের করতে হবে ইডি-কেই। নির্দেশ বিচারপতির।