১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Bankura: চাকরি পেতে বাঁকুড়ার গ্রামে ৮ বছর ধরে নারদ পুজোর চল! কতটা ফল মিলেছে?
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-01 15:04:38   Share:   

এবার চাকরি (job) না পেলে ভরসা নারদজি। ভাবছেন তা আবার সম্ভব কিনা! বাঁকুড়ার (Bankura) ছোট্ট একটি গ্রাম, যেখানে নারদের পুজো করলে চাকরি পাওয়া যাবে এই বিশ্বাসে ধুমধামে চলছে পুজো। ঘটনাস্থল বাঁকুড়া দু'নম্বর ব্লকের রতনপুর গ্রাম। জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে চলছে এই উৎসব। স্থানীয়দের মতে, চাকরির খোঁজ করতে গিয়েই এই পুজোর সূচনা। এখন প্রশ্ন, হঠাৎ এই নারদ পুজো কেন? কেনই বা এই ধূমধাম, কী আছে আসল গল্প?

পাল্টেছে বেঁচে থাকার ধরণ। মানুষ এখন গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী, চাকরি করার চাহিদা বেড়েছে। তবে শহরেও যা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তাতে করে চাকরি পাওয়া বর্তমানে যেন দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই রতনপুর গ্রামের বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে এই পুজো। চাকরির খোঁজে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিল বেশ কয়েকজন যুবক। তবে তাতে লাভ হয়নি কিছুই। সেই সময় হঠাৎই তাঁদের মনে হয়, নারদ পুজো করলে হয়তো তাঁদের বৈতরণী পার করা সম্ভব হবে।

কারণ, নারদ বার্তা বাহক। তাই বৈকন্ঠ চতুর্দশীর দিন শুরু হয় এই পুজোর। এরপর অস্বাভাবিকভাবেই সেখানকার বেশ কিছু বেকার যুবক চাকরি পেয়ে যায়। সেই থেকেই এই পুজো সমস্ত রীতিনীতি মেনে শুরু হয়। তবে মন্ত্র সবটাই নারায়ণের। নারায়ণ নিয়েই তাঁদের নারদ পুজো।

উদ্যোক্তারা জানান, ২০১৪ সালে শুরু হয় এই পুজো। এই পুজো উপলক্ষ্যে চলে ৫ দিন ধরে মেলা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান। তবে আগে ছিল ৪ দিনের। বেকার যুবক-যুবতীরা নারদমুনিকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের যা মনস্কামনা আছে তা পূরণ করার জন্য। শুধু সরকারি না বেসরকারি বিভিন্ন কাজ পেয়েছেন তাঁরা। তবে একদল বেকার যুবক-যুবতীদের হতাশা থেকে এই উৎসবের সূচনা। উচ্চশিক্ষিত হয়েও কোনও চাকরি না পেয়ে এই পুজোকে অবলম্বন করে তাঁরা এগোচ্ছেন। লৌকিক কিছু না পেয়েই এই আলৌকিক পথে হাঁটছেন। তবে প্রশাসনের উচিত এবিষয়ে আলোকপাত করা দাবি বিজ্ঞান কর্মীদের। 


Follow us on :