Share this link via
Or copy link
নামেই রাস্তা। তবে পুকুর বলে চালিয়ে দেওয়া যায় দিব্য। জমা জলে রীতিমত সাঁতার কাটা চলে। যেখানে জল নেই সেখানে কাদাভরা। বছরের অন্য সময়টা যেমন তেমন, বর্ষাকাল রীতিমত অসহনীয় হয়ে উঠছে শিলিগুড়ির (Siliguri) ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধান নগরের এক কিলোমিটার রাজ্য সড়ক। এই সড়কের ভরসায় লেখা-পড়া থেকে কাজকর্ম চালান আশেপাশের প্রায় দশ-বারোটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এই এলাকাতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি ইঁটভাটা এবং চা ফ্যাকটরি (Tea Garden)। মাল বোঝাই ভারিভারি গাড়ি দিবারাত্র যাচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে ফলে রাস্তা আরও ভাঙছে দ্রুতগতিতে।
সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে। নিত্য লেগে আছে দুর্ঘটনা। অসুস্থ মানুষদের নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স এড়িয়ে চলে গোটা রাস্তা। শ্বাস ওঠা রোগীকে নিয়ে মুরলিগঞ্জ হয়ে ঘুরে যেতে হয়। সমস্যাটা নতুন নয়। প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়া হয়েছে বহুবার। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্যাটা স্বীকার করে আশ্বাস দিয়েছেন অতি দ্রুত সমস্যার সমাধানের। এর আগেও আশ্বাস মিলেছে ঝুড়ি ঝুড়ি। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
ফি বছর বর্ষা এলেই নিয়ম করে আশ্বাস দেওয়া হয়। এবার আশ্বাসে বিশ্বাস রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ রাজ্যের আনাচে কানাচে শুধুই উন্নয়নের বিজ্ঞাপন। কীসের উন্নয়ন? উন্নয়নটা আসলে হচ্ছে কাদের? উঠে আসছে হাজার প্রশ্ন। ফাঁসিদেওয়ার এই রাজ্য সড়ক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপি নেতৃত্ব। ঠিক কী বললেন তিনি? চলুন শুনে নেওয়া যাক।
বিজ্ঞাপন বলছে রাজ্যের মোড়ে মোড়ে উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিজ্ঞাপন বলছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু আসল চেহারাটা পরিষ্কার হয়ে যায় এ ধরণের ঘটনায়। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পরিষেবার বিভিন্ন ইস্যুতে ইতিমধ্যেই তিতিবিরক্ত হচ্ছেন রাজ্যবাসী। এবার মিটবে কি ফাঁসিদেওয়ার এই সড়ক সমস্যা? আপাতত আশ্বাসেই বিশ্বাস রাখছেন এলাকাবাসী।