Share this link via
Or copy link
অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল পুনমের মৃতদেহ (deadbody)। এনডিআরএফ (NDRF), রাজ্য পুলিস (police) এবং ইসিএল (ECL)-র তৎপরতায় উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ। জানা যায়, চানোকের জলের নিচে গাছের ভাঁজে আটকে ছিল পুনমের দেহ। তাকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল সকলেই। অবশেষে মৃতার মায়ের আর্তনাদ সার্থক হল। উদ্ধার হল মেয়ের দেহ।
প্রসঙ্গত, আসানসোলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাল্লা বজরঙ্গিতলা এলাকার ইসিএল-এর চানোকে শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ ঝাঁপ দিয়েছিল নাবালিকা পুনম। প্রথম অবস্থায় রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দড়ি ও কাঁটা দিয়ে পুনমকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সময় নষ্টের অভিযোগ ওঠে। এরপর ইসিএল-এর পক্ষ থেকে রবিবার ১১টা নাগাদ আনা হয় হাইড্রা এবং ডুলি। আসে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, মাইনিং রেসকিউ টিম। চেষ্টা চালানো হয়, কিন্তু খোঁজ মেলে না পুনমের। রবিবার সন্ধ্যায় আসে এনডিআরএফ-র ১২ জনের দল। সোমবার ভোর থেকে শুরু হয় চেষ্টা। এনডিআরএফ-এর ৩ সদস্য অক্সিজেন নিয়ে বারবার নামে। কিন্তু তাঁরাও ব্যর্থ হন।
এনডিআরএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, চানোকে জলের নিচে কিছু দূর যাওয়ার পর রয়েছে সুড়ঙ্গ। যেখান থেকে তীব্র গতিতে জল প্রবাহিত হচ্ছে। জলের বেগ পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের এই চানোকে রয়েছে কম করে দু'টি সুড়ঙ্গ। যেখান থেকে তীব্র বেগে জল বইছে। ফলে পুনমের দেহ সেই জলে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছিলেন তাঁরা। সম্পুর্ণ চানোক খুঁজে পাওয়া যায়নি পুনমের দেহ। এছাড়াও, ব্রিটিশ আমলে এই চানোকের মাটির নিচে রাস্তা কোথায় তার কোনও ম্যাপ নেই বলেও জানান তাঁরা। এরপর বিফল হয়ে এলাকা থেকে বিদায় নেয় এনডিআরএফ।
সোমবার সকাল থেকে শুধুই মায়ের চিৎকার আর বাবার আর্তনাদ ছাড়া কিছুই যেন শোনা যাচ্ছে না এলাকায়।