১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Malbazar: মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে হোমগার্ডের 'অস্থায়ী চাকরি' ফেরালেন বিসর্জন-কাণ্ডে মৃতার ভাই
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-09 13:23:12   Share:   

মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরি ফিরিয়ে দিলেন মালবাজারের (Malbazar) হড়পা বানে নিহতের ভাই। ইতিমধ্যেই সেই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে (Chief Minister) চিঠি পাঠিয়েছেন সুদীপ পোদ্দার নামে ওই যুবক। গত ৫ই অক্টোবর ঠাকুর বিসর্জনের দিন মালনদীতে হড়পা বান বিপর্যয়ে দুই শিশু সহ ৮ জনের মৃত্যু (death) হয়। তার মধ্যে একজন ছিলেন সুস্মিতা পোদ্দার। সুদীপ তাঁরই ভাই।  অক্টোবরে উত্তরবঙ্গ সফর চলাকালীন মালবাজারে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মৃতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন তিনি। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি কী প্রয়োজন সেই কথাও জানতে চান। এরপরের দিন অর্থাত্ ১৮ই অক্টোবর প্রশাসনিক বৈঠক করে মৃতদের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেই মোতাবেক ইতিমধ্যেই কয়েকজন সেই কাজে নিযুক্তও হয়েছেন। একইসঙ্গে মৃত সুস্মিতা পোদ্দারের ভাই, সুদীপ পোদ্দারকে পুলিসের হোমগার্ডে চাকুরির জন্য মনোনীত করা হয়। কিন্তু তাঁর হাতে পুলিস সুপার, হোমগার্ডের তরফে ইস্যু করা যে এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তাতে উল্লেখ রয়েছে "ভলেন্টিয়ার ইন নেচার" এবং তা সম্পূর্নরুপে অস্থায়ী বলে দাবি সুদীপের। পাশাপাশি সুদীপের দাবি, ওই কাগজে উল্লেখ রয়েছে "এজ এন্ড হোয়েন নিডেড"। অর্থাৎ প্রয়োজন পড়লে তবেই কাজে ডাক পাবেন। এরপরই চাকরি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুদীপ।

মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে সুদীপ জানিয়ে দিয়েছেন অস্থায়ী হোমগার্ডের চাকরি নিতে অরাজি তিনি। পাশাপাশি, তিনি চিঠিতে এও আবেদনে জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী মালবাজার শহরে কোনও সরকারি দফতরে স্থায়ী চাকরির সুযোগ দেওয়া হলে তিনি করতে রাজি রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠির প্রতিলিপি, জলপাইগুড়ি জেলাশাসক, জেলা পুলিস সুপার, পুলিস সুপার (হোমগার্ড), মালবাজারের মহকুমাশাসক, মালবাজার মহকুমা পুলিস আধিকারিকেও পাঠিয়েছেন। তাঁর এমন সিদ্ধান্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এদিকে সুদীপের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদের বক্তব্য, মৃত্যুর কোনও ভর্তুকি হয়না। তারপরও যদি মৃতদের পরিবারের পাশে দাড়াতে চান মুখ্যমন্ত্রী, তাহলে যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী সরকারি চাকরি দেওয়া হোক। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যুব তৃণমূলের জেলা সম্পাদক সৈকত চ্যাটার্জীর দাবি, কেউ ভুল বুঝিয়ে থাকতে পারে ওই পরিবারকে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের সঙ্গে কথা বললেই সমস্যা মিটে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


Follow us on :