২০ এপ্রিল, ২০২৪

Egra: রাতে আচমকাই বারে বিধ্বংসী আগুন, প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরলেন সুরাপ্রেমীরা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-07 10:59:32   Share:   

আচমকাই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন (fire)। তখন ঘড়ির কাটায় আটটা। লাইসেন্স প্রাপ্ত বারে (bar) বসেছিল মদ্যপানের আসর। সেই সঙ্গে চলছিল হই হুল্লোড়। হঠাৎই যেন বিষাদের সুর নেমে আসে। আচমকাই সোনা যায় চিৎকার-চেঁচামেচি। কিন্তু কী হল? শুনলে আপনিও অবাক হবেন।

অভিযোগ, বারের তিন তলার রান্নাঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে মঙ্গলবার রাতে। আর সেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখেই বারের দোতলা থেকে সুরাপ্রেমীরা আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে নীচে নেমে আসে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার (Egra) নেগুয়াতে এক লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানের। অনুমান, রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের ওভেনে সংযোগকারী পাইপ লিকেজ হয়ে প্রথমে গ্যাস বের হয়, এরপরেই সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। স্থানীয়রা এবং দোকানের কর্মীরা জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে পুরো রান্নাঘর সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলকে।

এরপর এগরা থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। দমকল কর্মীদের তত্পরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকল কর্মীরা যদি দ্রুত এসে পৌঁছত তাহলে এতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়ত হত না। প্রতিবাদে স্থানীয়রা দমকলের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে রাতেই। আবার অনেকেই দমকলের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন। অপরদিকে, ঠিক যে জায়গায় আগুন লেগেছে অর্থাৎ রান্নাঘরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ভেন্টিলেশন, ফায়ার অ্যালার্ম রাখা হয়নি বলেও অভিযোগ।

অনেকের প্রশ্ন, লাইসেন্স প্রাপ্ত বারে কেনই বা আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবেনা? তবে এই প্রসঙ্গে দোকানের মালিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দমকল পুলিস। রাত থেকেই ওই এলাকায় যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছে।


Follow us on :