Share this link via
Or copy link
মর্মান্তিক ঘটনা, দেগঙ্গায় মেধাবী ছাত্রীর (student) রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিস (police) গিয়ে মৃতদেহটি (deadbody) উদ্ধার করে বিশ্বনাথ গ্ৰামীণ হাসপাতালে (hospital) নিয়ে আসে। তবে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত (death) ঘোষণা করেন। মেধাবী ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে। কেন এমন সিদ্ধান্ত বলতে পারছেন না পরিবারের কেউই।
মৃত ছাত্রীর বাড়ি দেগঙ্গার খেজুরডাঙা গ্ৰামে। বছর ১৭-র ওই ছাত্রী রায়পুর-নিরামিষা হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। গত পরশু পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ বেরিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, পরীক্ষায় সে ভালো রেজাল্ট করে একাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়েছে। মৃতা ছাত্রীর মা জানান, মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে খাওয়া দাওয়া করে সে। এরপর মাকে জানায় সে পড়তে বসবে।
রাতভর সে তার নিজের ঘরেই ছিল। কিন্তু বুধবার ভোরে ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙে চোখে পড়ে ওড়ানা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের ঘরের মধ্যেই ঝুলছে সে। কানে হেডফোন এবং তার মোবাইল ফোন সাইলেন্ট। যা ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য।
পরিবারের সঙ্গে কোনও অশান্তি-ঝামেলা হয়নি। তবুও কী কারণে তার এই পদক্ষেপ বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। তদন্তে দেগঙ্গা থানার পুলিস। অন্যদিকে, স্কুলের মধ্যেই আত্মহত্যা চেষ্টা করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। ঘটনাটি বারাসাত কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। বুধবার সে তার ভূগোল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দোতলার বারান্দার থেকে ঝাপ দেয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিল এই ছাত্রী। পারিবারিক অশান্তির কারণে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার পরই স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিসকে খবর দিলে পুলিস এসে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সঠিক কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
স্কুল সূত্রে খবর, এই মেধাবী ছাত্রী বরাবরই ক্লাসে প্রথম হয়। তবে বেশ কিছুদিন ধরে তার চালচরণে অসংগতি বুঝতে পেরেছিলেন শিক্ষিকারা। এছাড়াও, সে জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার খাতায় উল্লেখ করেছিল শেষ পরীক্ষায় আত্মহত্যার আভাস। এরপরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে তার পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কথা বলার কথা ছিল। তবে তার আগেই এই ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্থিতিশীল রয়েছে ওই ছাত্রী।