Share this link via
Or copy link
ফের বোমার আঘাতে রক্তাক্ত শৈশব। এবার মিনাখাঁয় মামাবাড়িতে মজুত বোমাকে (bomb) নারকেল ভেবে মাচা থেকে পারতে গিয়েই অঘটন! বোমা ফেটে মৃত্যু (death) এক আট বছরের শিশুর। গুরুতর আহত (injured) আরও দুই শিশু। মর্মান্তিক এই ঘটনা বসিরহাটের (Basirhat) মিনাখাঁ থানার বকচোরা গ্রামের। বুধবারের এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবারও থমথমে গ্রাম। চলছে পুলিসি টহরদারি। কী ধরনের বিস্ফোরক মজুত ছিল ওই বাড়িতে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস (police)। পাশাপাশি পুলিস সূত্রের খবর, ঘটনায় ফরেন্সিক টিমের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন পুলিস কর্তারা। বুধবারই বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় আবুল হোসেন গাইনকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৃতার মামা অর্থাৎ আবুল হোসেন গাইনের নাম উঠে আসে। যার ফলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে মধ্যে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এক ভয়ানক চাপা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে গোটা বকচোরা গ্রাম। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কার্যত মানবশূন্য হয়েছে বকচোরা। গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা। আবার অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর তার আগেই এই উত্তেজনা। যার ফলে যথেষ্টই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামে যেন আবার শান্তি ফিরে আসে। দোষীরা যেন অবিলম্বে শাস্তি পায়। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বোমা বিস্ফোরণ যে বাড়িতে ঘটে, সেই বাড়িটিকে তদন্তের স্বার্থে সিল করে রেখেছে মিনাখাঁ থানার পুলিস।
সূত্রের খবর, রান্নাঘরের মাচায় মজুত করে রাখা ছিল বোমা। সেই বোমাগুলোকে নারকেল ভেবে পাড়তে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। তখনই মাচা থেকে বোমা নিচে পড়েই ঘটে এই বিপত্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহানাকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস ওই আবু হোসেন গায়েনের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।