প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহর, প্রতিটি জায়গায় কার্যকর করা হয়েছে মিড ডে মিল (mid day meal) ব্যবস্থা, যাতে বিনামূল্য সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা পুষ্টিকর খাদ্য পায়। কিন্তু এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে আদৌ পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে কি পড়ুয়ারা? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাস (gas) সহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম। চড়চড়িয়ে বাড়ছে সবজির দামও। আর এই কারণেই মিড ডে মিলের খাবারে পড়ছে টান। সরকারের তরফ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (primary school) পড়ুয়াদের জন্য প্রতিদিন বাজেট (budget) নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। কিন্তু বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে এই টাকায় কিভাবে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা।
শিক্ষকরা জানান, বর্তমানে রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকার বেশি। একটি ডিমের দাম প্রায় ছয় টাকা। এরপর চাল, ডাল, সবজি তো রয়েছেই। কীভাবে সম্ভব এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো? এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পলশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক এবং শিক্ষকরা।
তাঁদের স্পষ্ট দাবি, ঠান্ডা ঘরে বসে এই পরিকল্পনা করা সহজ। বাস্তবে এমনটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। যে কারণে বর্তমানে পড়ুয়াদের পেটে মিড ডে মিলের খাবার বলতে শুধু শাকসবজি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই স্কুলের এমন কিছু পড়ুয়া রয়েছে, যারা কেবলমাত্র এই মিড ডে মিলের দিকে তাকিয়েই স্কুলে আসে। তাদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পাতে একটি ডিম তুলে দিতে না পারায় শিক্ষকরাও দুঃখিত। কিন্তু কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
স্কুলের পড়ুয়ারা জানায়, আগে তাদের আলুপোস্ত, ডিম খাওয়ানো হত। কিন্তু বর্তমানে একটি সবজি ও ভাত দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরা আবার সেই বার্তা তাঁদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চললেও, এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা পাওয়া যায়নি। কবে মিলবে, তাও জানেন না।