২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Uluberia: সাঁকোটা দুলছে, উদাসীন প্রশাসন, বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-30 12:03:45   Share:   

কেউ কথা রাখেনি। কেউ কথা রাখে না। শুধু প্রতিশ্রুতির গাজর ঝুলিয়ে পার হয় ভোট বৈতরণী। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে বেহাল কাঠের সেতু দিয়ে জীবন হাতে নিয়ে ঝুকির নদী পারাপার। উলুবেড়িয়া(uluberia) ও শ্যামপুরের (shyampur) মধ্যে দামোদর (damodor) ও তার সংযোগকারী খালের ওপর কোলিয়া ও ভবানীপুরে তৈরি হয় ব্যক্তিগত মালিকাধীন দুটি কাঠের সেতু (wooden bridge)। সালটা ২০০২। যদিও এই সেতুদুটির কোনওটিরই আইনি বৈধতা (Legal validity) নেই। তবুও এই সেতুদুটির ওপর ভরসা করেই উলুবেড়িয়া, মাথাপাড়া রা মানুষরা যোগাযোগ বজায় রাখে শ্যামপুরের সঙ্গে। হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে, ছোটগাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স কিংবা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে এই দুর্বল সেতুর ওপর দিয়ে। এই সেতুর ভরসায় উলুবেরিয়া দক্ষিণ বিধানসভার (south uluberia assembly) চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আরও বেশ কিছু গ্রামের মানুষ দিন গুজরান করেন। সেতুর নীচ দিয়ে খেয়া পারাপার। জোয়ারের জল বাড়লে সেতুর তলা দিয়ে নৌকা চলাচলের জন্য সেতুটিকে খুলে দেওয়া হয়। সেতু পারাপার করতে প্রথমে ২৫ পয়সা করে নেওয়া হত। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকায়। তা সত্ত্বেও সংগ্রীত টাকায় সেতুর মেরামত করা সম্ভব হয় না। জানালেন সেতু মালিক। স্বাভাবিক ভাবেই ভাঙছে সেতু। বিপদ বাড়ছে দিন দিন। এলাকার মানুষের দাবি একটি পাকা স্থায়ী সেতুর। প্রত্যাশা মত আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক কালিপদ মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য  অনুমোদন হয়ে গেছে অতি দ্রুত পাকা সেতু পেতে চলেছে এলাকার মানুষ। ঠিক কী বললেন তিনি? 

প্রতিদিন ধান্দালি, বেলাড়ি, বালুচাতুরি, মাথাপাড়া, কোলিয়া ভবানীপুর সহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামপঞ্চায়েতের (gram panchayet) প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই সেতু পারাপার করেন। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে একজন মানুষ অবৈধ ভাবে এই সেতু দুটি থেকে শুল্ক আদায় করছেন। কীভাবে সম্ভব? তবেকি এর পিছনে রয়েছে সরকারি ছত্রছায়া? প্রশ্ন তুলছে হাওড়া গ্রামীণ বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক। ঠিক কী বললেন তিনি?

মোটের ওপর একটি বিষয় পরিস্কার। এই সেতু দুটি অবৈধ। কীভাবে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে গড়ে উঠল এই দুই সেতু? কোন ভোজবাজিতে একজন মানুষ কীভাবে দীর্ঘ ২০ বছর এই সেতু থেকে শুল্ক আদায় করতে পারেন? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই সেতু দুটি কংক্রিটের হলে এলাকার মানুষের দিনযাপন আরও সহজ হবে। বাড়বে ব্যবসা বানিজ্য। জীবন হয়ে উঠবে আরও গতিময়। আর তার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।


Follow us on :