Share this link via
Or copy link
চাই জমির(land) অধিকার, চাই শিক্ষা(education), স্বাস্থ্য(health),পানীয় জলের(drinking water) মত ন্যূনতম মৌলিক অধিকার। দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে এই বার্তা পৌছে দিতেই প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি ওদলাবাড়ি চা বাগানের দুই যুবকের। সোমবারই দেশের রাজধানীর(capital) উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছে পিলাতুস ওঁরাও(২৫) এবং শ্যাম ওঁড়াও(৩০) নামে ওই দুই যুবক।
উত্তরবঙ্গের মধ্যে বিশেষ করে ডুয়ার্সে তরাইয়ের চা বলয়ে লক্ষ লক্ষ আদিবাসী মানুষের বসবাস আদিকাল থেকে। জনসংখ্যার নিরিখে এগিয়ে থাকলেও, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে রয়েছেন আদিবাসী জনজাতির মানুষেরা। বিশেষত শিক্ষা এবং জমির অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত বলে অভিযোগ। ডুয়ার্স, তরাই- এর আদিবাসীদের জন্য হিন্দি স্কুল, কলেজ স্থাপন হয়েছে। তারা পড়াশোনাও করছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে বিশেষত সরকারি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেই হিন্দিভাষার পড়াশোনা কাজে লাগছে না বলেই অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় বসবাস করলেও জমির অধিকার থেকেও বহু আদিবাসী মানুষ বঞ্চিত বলে অভিযোগ।
এছাড়াও আদিবাসী অধ্যুষিত ডুয়ার্সের চা বলয় পানীয় জল পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, রাস্তাঘাট পরিষেবায় পিছিয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ডুয়ার্স জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসীদের প্রাণপুরুষ বিরসা মুন্ডার মুর্তি বসানো হচ্ছে। কিন্তু তাদের অভিযোগ, বিরসা মুন্ডার মুর্তির চেহারা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। এর ফলে আদিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ জমছে।
সেইসব অভাব, অভিযোগগুলি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পৌছে দিতেই এই পদযাত্রা বলে জানিয়েছেন পিলাতুস ওঁরাও। এই দুই যুবকের বাড়ি মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি চা বাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওদলবাড়ি থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি, বিহার হয়ে তারা নিউ দিল্লি পৌঁছবেন তারা। তারপর রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দেখা করবেন দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে।
উল্লেখ্য, দ্রৌপদী মুর্মু দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরই উচ্ছাস,উল্লাস দেখা গিয়েছিল আদিবাসী সমাজে। দুই যুবকের আশা, সমস্যায় জর্জরিত আদিবাসীদের বার্তা রাস্ট্রপতির কাছে পৌছে দিতে পারলে মিলতে পারে আশার আলো। যে আলো তাদের জীবনের অন্ধকার দূর করে আলোর পথে নিয়ে যাবে।