১৯৭৫ এ বিশ্বকাপ সীমিত ওভারের খেলা শুরু হয়েছিল। প্রতি ৪ বছর বাদে বাদে এই খেলা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে একডজন বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট হয়ে গিয়েছে। ১৯৭৫ এবং ১৯৭৯ তে ভারতীয় দলের অবস্থান খুব করুণ ছিল। ভেঙ্কটরাঘবনের নেতৃত্বে ভারত রাউন্ড লিগেই ছিটকে গিয়েছিলো। এক সাক্ষৎকারে ৮৩ বিশ্বকাপের ওপেনিং ব্যাটার শ্রীকান্ত বলেছেন আজ ৩৮ বছর বাদে ওই বিশ্বকাপের কথা বারবার মনে পড়ছে। তিনি বলেন যে ২০১১ র বিশ্বকাপ ভারতে হয়েছিল এবং তখন ভারত সীমিত ক্রিকেট খেলার অন্যতম সেরা ছিল কিন্তু ৮৩ তে তাঁরা কাপ জেতার জন্য নয় স্রেফ অংশ গ্রহণ করতেই গিয়েছিলো। তবুও বিশ্বকাপ জিতলো কি ভাবে প্রশ্নের উত্তরে শ্রীকান্ত বলেন অনলি এন্ড অনলি ফর কপিলদেব।
তাঁর জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে করা ১৭৫ রানই ভারতকে চাঙ্গা করে। শ্রীকান্তের কথা অনুযায়ী ওই ধরণের ইনিংস বিশ্ব ক্রিকেটে আর দেখা যায় নি। সেদিন ইংল্যান্ডে ওই খেলার লাইভ টেলিকাস্ট করা হয় নি কারণ বিবিসি চ্যানেলের ধর্মঘট চলছিল ফলে মানুষ জানেই না কত কঠিন ছিল কপিলের পক্ষে সেদিন কনকনে ঠান্ডায় ব্যাট করা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৫ উইকেটে মাত্র ১৭ রান করে। সবাই ভেবেছিলো হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস হতে চলেছে। গাভাস্কার ০ , শ্রীকান্ত ০, অমরনাথ ৫ , পাতিল ১ , যশপাল ৯ রান করে আউট হয়।
এরপরই শুরু কপিলদেবের সেই অবিশাস্য ইনিংস। বিনিকে সাথী করে ১৭ রান থেকে ৭৭ রান অবধি পৌঁছে যায় ভারত। এরপর শাস্ত্রী ফের ১ রানে আউট। এরপর নামেন মদনলাল।তাঁকে সাথী করে ভারতের রান দাঁড়ায় ১৪০/ ৭। মদন আউট হলে নামেন কিরমানি। তাঁকে সাথী করে ভারত শেষ পর্যন্ত ২৬৬ রান করে যার মধ্যে কপিল একাই ১৭৫ নটআউট। পরে ব্যাট করতে নামলে জিম্বাবোয়ে ২৩৭ রানে সবাই আউট হয় যায়। কপিলের একার চেষ্টাই ভারতকে ২৬৬ রান অবধি পৌঁছাতে সাহায্য করে। ভিভিয়ান রিচার্ডস বলেন কপিলের এই ইনিংস আমি খেলতে পারতাম না। ইমরান খানও একই মতামত দেন। এবারে কপিলের জীবনী নিয়ে যে সিনেমা হচ্ছে তার অনেকটাই এই ম্যাচ নিয়ে। কপিলের ভূমিকায় রণবীর সিং।