২৮ মার্চ, ২০২৪

CAB: সিএবি-তে সৌরভের প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বরূপ দে? যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নেক নজরে মহারাজ
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-14 12:33:03   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: ঠিক কী চাইছেন এখনও সেই চিত্রটি পরিষ্কার জানাচ্ছেন না ভারতীয় বোর্ডে প্রাক্তন হতে চলা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি অপসারিত হয়ে যে প্রবল অপমানিত তা কিন্তু বৃহস্পতিবার এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে কিছুটা অভিমানের সুরে জানিয়েছেন। সৌরভ অপমানিত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সেই গ্রেগ চ্যাপেল জমানা থেকে চলছে। জীবনের প্রথম বিদেশ ট্যুরে গিয়েছিলেন ১৯৯২-তে এবং মাত্র একটি ম্যাচ খেলিয়েই আজহারউদ্দিন পত্রপাঠ তাঁকে ভারতীয় দল থেকে ছেঁটে ফেলেন।

ফের জগমোহন ডালমিয়ার কল্যাণে ১৯৯৬-তে ভারতীয় দলে ফেরেন। এই সময়ে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। ২০০৪-০৫ অবধি তাঁকে দল থেকে সরানো যায়নি। বেটিং কেলেঙ্কারিতে যখন ভারতীয় দল বিধস্ত, তখন অধিনায়ক হয়ে হাল ধরেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের সেই  তিনিই দলের কোচ করে নিয়ে আসেন গ্রেগ চ্যাপেলকে। গ্রেগ এসেই তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলেন। নেপথ্যে ফিটনেস সমস্যা। ফের এক বছরের মধ্যে কামব্যাকও করেন এবং ২০০৭-০৮ অবধি খেলেন।

ওই সময়ে তিনি যে অবসর নেন তার পিছনেও বোর্ডের তৎকালীন শ্রীনিবাসন লবি এবং এমএস ধোনির চাপ ছিল বলেই সংবাদ। ২০০৮-এ শুরু হয় আইপিএল, এবার তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নতুন ইনিংস শুরু করেন। এবার আইপিএল-র দু'বছর বাদে কেকেআর মালিক শাহরুখ খান তাঁকে বসিয়ে দেন। তিনি পুনে দলে যোগ দিয়ে আরও দু'বছর খেলেন।

এরপর জগমোহন ডালমিয়া যখন সিএবি প্রেসিডেন্ট, তখন সৌরভ সম্পাদক পদে আসীন হন। ডালমিয়ার মৃত্যু এবং বাংলার মসনদে রাজনৈতিক পালাবদল। মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নিয়ে সৌরভকে সিএবি প্রেসিডেন্ট করেন। এরপরের ইতিহাস আবার বিজেপির সঙ্গে প্রিন্স অফ কলকাতার সখ্যতা বাড়া। তিনি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জোর চর্চা অমিত শাহের কল্যাণে তিনি নাকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে শীর্ষ আসনে। যদিও ক্রীড়া মহলের একাংশ তাঁকে যোগ্যতম বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুলে ধরে। তবে শাহরা চেয়েছিলেন একুশের ভোটে সৌরভ বাংলায় তাঁদের দলের মুখ হোন। এমন একটা গুঞ্জন তৈরি হয়। সৌরভ বুদ্ধিমান, নানা বাহানা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত যেকোনও ভাবেই হোক পূর্বের তাঁর জীবনের একাধিক ঘটনাপ্রবাহের মতো একপ্রকার তাঁকেও বিদায় দেওয়া হয়।

কিন্তু প্রশাসক সৌরভ এবার কিছুটা ক্ষিপ্ত। তাঁর সামনে অবশ্য বিকল্প কিছু নেই। তিনি সিএবি প্রেসিডেন্ট হয়ে রাজ্য ক্রিকেট বোর্ডে ফিরতে পারেন, যেমন এক সময়ে তাঁর মেন্টর ডালমিয়া হয়েছিলেন। কিন্তু ডালমিয়ার পিছনে নাকি সুভাষ চক্রবর্তীর মতো নেতার হাত ছিল।

এবার সিএবি-তে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বরূপ দে। যার সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জোর চর্চা। এই বিশ্বরূপ দে এখন তৃণমূলের কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর। ফলে প্রশাসক হিসেবে সৌরভকে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায়  ফিরতে গেলে মমতার আশীর্বাদ যে দরকার, তা একপ্রকার স্বীকার করছেন অনেকেই। সেখানে কি এবার তাঁকে কিছু দিতে হবে? ফের শুরু হয়েছে চর্চা।


Follow us on :