হোয়াইট ওয়াশ। ক্রিকেটে টেস্ট, এক দিবসীয় অথবা টি ২০ সিরিজে পরপর সব ম্যাচে হারা মানেই ক্রিকেটীয় ভাষায় চুনকাম বা হোয়াইট ওয়াশ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটি ভালোই শুরু করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু দ্রুত ছন্দপতন। তিন টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম টেস্টে জয়ের পর বাকি দুই ম্যাচে হার, এরপর এক দিবসীয় ক্রিকেটে তিন ম্যাচেই হার। শেষ ম্যাচ জেতাবার মতো অবস্থায় থেকেই শেষ বলে যখন ৪ রান দরকার, তখনই আউট হয়ে যায় শেষ ব্যাটার। প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৫ বলে ২৮৭ করে দক্ষিণ আফ্রিকার সবাই আউট হয়ে যায়। এর মধ্যে ডি'কক করেন ১২৪ এবং ড্যূমেন ৫২। পরে ব্যাট করতে এসে প্রথমেই অধিনায়ক রাহুল আউট হয়ে যান, ভালো ব্যাট করেন প্রাক্তন হয়ে যাওয়া অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শেষ পর্যন্ত ২৮৩ করে সবাই আউট হয়ে যান। এবার প্রশ্ন উঠেছে, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো অসাধারণ ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও ভারতের এই হাল হল কেন এবং নিস্তার কোথায়?
আসলে ভারতীয় দলে দলাদলি বা অন্দরের রাজনীতি শুরু হয়েছিল রবি শাস্ত্রীর জমানায়। বিরাট তাঁর খুশিমতো টিম চাইতেন এবং গদি রাখতে অধিনায়কের মন জুগিয়ে চলতেন রবি। দলের ভিতরেই ৭-৮ জন ক্রিকেটার নাকি বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল। এরপরই রবিযুগ শেষ হয় এবং শুরু হয় দ্রাবিড়যুগের। ওয়ান ডে এবং টি ২০ থেকে বিরাট সরে যাওয়ার পর দল রোহিতকে সমস্ত ট্যুরে পায় না। পরে রোহিত টেস্টেরও নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দলটিকে সাজানোর মতো সময় পাননি দ্রাবিড়। এবার বোর্ডকে ভাবতে হবে দলে একজন ভালো অধিনায়ক দরকার। বহু মুনির বহু মত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোহিত শর্মার মতো অধিনায়ক দরকার তিন ধরনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। রোহিতের একটা দীর্ঘদিনের চোট আছে, যা দ্রুত সারিয়ে নেওয়া দরকার। কারণ রোহিতের নেতৃত্ব দিয়ে যে জেতার অভ্যাস আছে, তা আইপিএলে দেখা গিয়েছে। ভারতের হয়ে নেতৃত্বতেও রোহিত সফল এনং তিনি 'হিটম্যান' হিসাবে বোলারদের ত্রাস। সুতরাং রোহিতের বিকল্প কোথায়?