বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের(commonwealth games) কুস্তি থেকে ভারতকে সোনা এনে দিল সাক্ষী মালিক। মেয়েদের ফ্রি-স্টাইল(free style) কুস্তির ৬২ কেজি বিভাগে সোনা জিতলেন সাক্ষী। চলতি কমনওয়েলথ গেমসের কুস্তিতে এটি ভারতের দ্বিতীয় সোনা(gold)। শনিবার ফাইনালে কানাডার আনা গোদিনেজ গঞ্জালেজের বিরুদ্ধে ০-৪ পিছিয়ে পড়েছিলেন। এর পর টানা চারটি পয়েন্ট জেতেন(won) সাক্ষী। পয়েন্ট সমান থাকলেও ‘ভিকট্রি বাই ফল’-এর বিচারে সাক্ষী জিতে যান। এক ঘণ্টার মধ্যে কুস্তি থেকে ভারতের ঘরে এল দ্বিতীয় সোনা।
এই প্রথম কমনওয়েলথ গেমসের গোল্ড মেডেল গলায় ঝোলালেন সাক্ষী মালিক। এর আগে ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গমসের ৫৮ কেজি বিভাগে রুপো(silver) জিতেছিলেন সাক্ষী। পরে ২০১৮ সালে গোল্ড কোস্টের ৬২ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ(bronze) জেতেন তিনি।
সাক্ষী মালিকের জন্ম১৯৯২-এর ৩ সেপ্টেম্বর। একজন ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর(wrestler) হিসেবে সাধারণত মহিলাদের ৫৮ কেজি ফ্রিস্টাইল শ্রেণিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকেন। ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে তিনি মেয়েদের কুস্তির ৫৮ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন। তিনি প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে অলিম্পিকের কুস্তিতে পদক জয় করেন।
কীভাবে এল জয়?
গোল্ড মেডেল বাউটের শুরুতে আক্রমণ করতে গিয়ে ভুল করে বসেন সাক্ষী। প্রতি আক্রমণে সাক্ষীকে টেক ডাউন করে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন অ্যানা। প্রথম রাউন্ডেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করেন সাক্ষী। ফলে ফের তাঁকে ২ পয়েন্ট খোয়াতে হয়। প্রথম রাউন্ডে সাক্ষী ০-৪ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন। দ্বিতীয় রাউন্ডে সাক্ষী এক ঝটকায় ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেন এবং কানাডিয়ান তারকাকে ধরাশাই করে (৪-৪) ফাইনাল বাউট জিতে নেন।
কমনওয়েলথ গেমসে এই নিয়ে ভারতের আটটি সোনা ঘরে এল। জানা গেছে, অলিম্পিক্স পদকের পর দীর্ঘ দিন প্রতিযোগিতার বাইরে ছিলেন সাক্ষী। চোট-আঘাতের সমস্যায় চলছিল। বিশেষ করে হাঁটুর চোটে খেলতে পারেননি অনেক দিন। তবে এ বছর ফের নিজের ছন্দে ফিরেই ভারতকে এনে দিলেন সোনার পদক।