Share this link via
Or copy link
দাদা বলতে এক সময় অনেককেই বোঝানো হত। উত্তমকুমার সিনেমা দুনিয়াতে দাদা ছিলেন। সাহিত্য জগতে দাদা ছিলেন গৌরকিশোর ঘোষ। সবাই তাঁকে দাদা বলেই ডাকতেন বলে শোনা যায়। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় পরিচিত ছিলেন মানুদা নামে। কিন্তু রাজনীতির জগতে অজিত পাঁজা ছিলেন সর্বসম্মত দাদা। এসব তো যুগের সঙ্গে পাল্টেও গিয়েছে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলে সৌরভ গাঙ্গুলি আসার পর ক্রিকেটাররা তাঁকে দাদা বলেই ডাকতেন। বাঙালি মানেই সারা ভারতে দাদা। সৌরভ খ্যাতির শীর্ষে গিয়েছিলেন, কাজেই তাঁর দাদা নামটি থেকেই গিয়েছে। বাঙালি অবশ্য অনেক পরে 'দাদা' গেম শো চালু হতে তাঁকে সার্বজনীন দাদা বানিয়ে ফেলেন। মজার বিষয়, তাঁর থেকে বয়সে অনেক বড়রাও তাঁকে আজ দাদা বলে ডাকেন।
এই সৌরভ গাঙ্গুলির ক্রিকেট প্রশাসনে উত্থানও দ্রুতই হয়েছিল। প্রথমে বাংলার বা সিএবির সভাপতি হন। অবশ্য অনেকটাই বাংলার দিদির কল্যাণে তাঁর এই দায়িত্ব প্রাপ্তি। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কল্যাণে সর্বভারতীয় ক্রিকেটের সভাপতি হন। তাঁর আমলে ক্রিকেটের প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এমন দাবি না উঠলেও তিনি প্রশাসক হিসাবে উতরে গিয়েছেন নিশ্চিত। জানা গেল, আগামীতে তাঁর বিসিসিআইয়ের এই পদ আর থাকছে না। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের পরে তিনি আর বিসিসিআইয়ের সভাপতি থাকবেন না। কারণ তাঁর টার্ম শেষ।
প্রশ্ন এবার, তিনি কী করবেন? তিনি টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ। দাদা নামের এক গেম শো বা কুইজ করে যথেষ্ট নাম করেছিলেন। এবার রবিবার এই শো শেষ হল। জানা যাচ্ছে, নতুন শো আসছে এরপর। এবার সৌরভ কী করবেন?
মাঝখানে সপ্তাহ দুয়েক আগে একবার জল্পনা হয়েছিল, তিনি রাজনীতিতে আসতে পারেন। অমিত শাহ তাঁর বাড়িতে ডিনারে যাওয়ার পর সেই জল্পনা আরও বেড়েছিল। সৌরভের তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। বরং শিক্ষা সংক্রান্ত কিছু করবেন বলে জানিয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু সেটাই কি সব? গুঞ্জন কিন্তু এখনও বাজারে, সৌরভকে বিজেপি রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইছে। গুঞ্জনটি কি উড়িয়ে দেওয়া যায়?