Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: একটাই স্বপ্ন ছিল আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসির, কোনও একদিন বিশ্বকাপটি তাঁর হাতে ওঠে। স্বাভাবিক, বিশ্বসেরা তিন খেলোয়াড়ের মধ্যে সদ্য প্রয়াত পেলেকে বলা হয় সম্রাট, মারাদোনাকে রাজপুত্র এবং মেসিকে সুলতান বা রাজা। সমকালীন অনেক খেলোয়াড়ই এই তিন কিংবদন্তির সময়ে ছিলেন। কিন্তু এঁরা বিখ্যাত হয়েছেন একক শক্তিতে বা পায়ের জাদুতে দর্শকের ভোটেই। পেলে একমাত্র ফুটবলার, যিনি তিন-তিনবার বিশ্বকাপ পেয়েছেন। মারাদোনা ১৯৮৬-তে এবং অবশেষে মেসি খেলোয়াড় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে। ২০০৬ থেকে নিয়মিত বিশ্বকাপ খেললেও এতদিন লাগলো কেন মেসির, উঠছে এমন প্রশ্ন। আসলে আর্জেন্টিনার গাঁট জার্মানি দল। ৮৬-র ফাইনাল বাদ দিলে এই জার্মানি কতবার যে আর্জেন্টিনার মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে তা নিয়ে রেকর্ড বই ঘাঁটার দরকার নেই। দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন ৯০-এ মারাদোনা, ২০১৪-তে মেসি।
১৯৮৬-র বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়মিত পায়ের জাদু দেখানো মারাদোনাকে বোতলবন্দি করে রেখেছিলো তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। কিন্তু তাঁকে লক্ষ্য রাখতে গিয়ে বাকিদের ঢিলে পরে যাওয়াতে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জিতেছিল। পরে ৯০-তেও ফাইনালে মারাদোনাকে আটকে দিয়েছিলো এই জার্মানিই। মেসির ২০০৬-০এ তেমন নাম ধাম ছিল না, কিন্তু উঠতি খেলোয়াড় ছিলেন তো বটেই। ২০১০-এ মেসির আর্জেন্টিনাকে জার্মানি কোয়ার্টার ফাইনালে ৪ গোল দিয়ে বিদায় করেছিল। ২০১৪-র ফাইনালে মেসিকে বল নিয়ে ড্রিবলিং বা পাসিং করতেই দেয়নি জার্মান ডিফেন্স। ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ১১৩ মিনিটের মাথায় গোৎজের গোলে আর্জেন্টিনা ১ গোলে হারে।
এবারে মেসি বলেই দিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। কাজেই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মতোই জানপ্রাণ লড়িয়ে সারা টুর্নামেন্ট খেললেন নেতার মতোই। অবশেষে ঐতিহাসিক ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বৈরথে টাই-ব্রেকে জয় পায়ে মেসি বাহিনী। ট্রফিতে পেলেনই সঙ্গে বিশ্বকাপ ইতিহাসে নামটিও তুলে ফেললেন। সেই রাতে ঘুমের সময়ে নাকি মেসি বিশ্বকাপটি সঙ্গে নিয়ে শুয়েছিলেন।
তাঁর ফেসবুকে সে ছবিই পোস্ট করেছিলেন। এরপর তাঁর ক্লাব ফ্রান্সের পিএসজিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বর্তমানে দেশে এবং এই সময়ে আর্জেন্টিনায় গ্রীষ্মকাল। সারা বছর শীতের দেশে থাকা মেসি গরমকাল উপভোগ করছেন স্ত্রী এবং ৩ পুত্রের সঙ্গে। এই ছবিও পোস্ট করেন মেসি দ্য গ্রেট।