Share this link via
Or copy link
অস্তাচলে পেলে (Pele)। চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন ফুটবল সম্রাট। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে যখন একটু একটু করে ফেস্টিভ মুডে ঢুকে পড়ছে গোটা বিশ্ব, তখনই ইন্দ্রপতন ফুটবল বিশ্বে। সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে লড়াই শেষ পেলের। ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত (Death) হলেন ফুটবলের সম্রাট।
দীর্ঘ প্রায় একমাস ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সেপ্টেম্বরে রুটিন চেক আপের সময় ক্যানসার ধরা পড়ে। আরও স্পষ্টভাবে বললে ভুগছিলেন কোলন ক্যান্সারে। হার্ট ও কিডনির সমস্যাও ছিল। শেষ পর্যন্ত থেমে গেল সব লড়াই। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। ১৯৫৮, ১৯৬২ আর ১৯৭০। তিনটে বিশ্বকাপ তথা সোনার পরী পেলের দখলে। গত শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন পেলে আর মারাদোনা। একজন ফুটবল সম্রাট। অন্যজন ফুটবলের রাজপুত্র। মারাদোনা আগেই চলে গিয়েছেন। সম্রাট পেলেও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়েছিল। পেলের সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা শুরু হয়েছিল। ফরাসি মেগাস্টার কিলিয়ান এমবাপে পর্যন্ত ম্যাচের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়েছিলেন পেলে। এমনকি হাসপাতালে বসেই বিশ্বকাপের ম্যাচের দিকে নজর রেখেছিলেন। ব্রাজিলের হারে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন। তবুও মানসিকভাবে শক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন নেইমারকে।
আবার লিও মেসির বিশ্বজয়ের পর অভিনন্দন বার্তাও জানান সম্রাট। তাঁর পরিবার আশা করেছিলেন একসঙ্গে বাড়িতে বসেই বড়দিন পালন করতে পারবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। বড়দিনের আগেই ফের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে হাসপাতালেই রাখার বন্দোবস্ত করা হয় পেলেকে। বড়দিনের ঠিক আগে একে একে হাসপাতালে আসেন পরিবারের সদস্যরা।
ইঙ্গিত দিয়েছিলেম চিকিৎসকরা। হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। এমনকি চির বিদায় বার্তাও দেন পেলে। হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন লড়াই ফুরিয়ে আসছে। নতুন বছরে পা রাখা হলো না সম্রাটের। ২১ বছরের ফুটবল কেরিয়ারে ১২৮৩টি গোল রয়েছে পেলের। কিন্তু জীবনের মাঠ থেকে এবার বুটজোড়া খুলে রাখতেই হলো। তারার দেশে মারাদোনাকে সঙ্গে নিয়েই হয়তো নতুন কোনও স্টেডিয়ামে মাঠে নামবেন সম্রাট।