কোনও ক্রিকেটারের জীবন যদি ঘাত-প্রতিঘাতে ভরা থাকে, তবে তাঁদের অন্যতম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর ক্রিকেট জীবনে ফুল যেমন ছিল, তেমন ছিল কাঁটাও। দুর্দান্ত পারফরম্যানস দেখিয়ে ভারতীয় দলে প্রথম সুযোগ এসেছিল ১৯৯২ অস্ট্রেলিয়া সফরে। কিন্তু মাত্র একটি ম্যাচ খেলিয়েই তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সুযোগ এসেছিল ৪ বছর বাদে। প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া না থাকলে আদৌ তিনি সুযোগ পেতেন কিনা সন্দেহের। ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ অবধি আর কোনও সমস্যা আসেনি। অধিনায়ক হয়েছিলেন ২০০০ এ। ফের দলীয় রাজনীতির শিকার হয়ে বাদ পড়েন দল থেকে। ফের শুরু হয় তাঁর লড়াই। ফিরে আসেন বছর দেড়েক বাদে। এই ফিরে এসে ডবল সেঞ্চুরি এবং নিজের মাঠে অর্থাৎ ইডেনে শতরান পর্যন্ত পান।
ফের দশকের শেষ প্রান্তে বোর্ডের থেকে চাপ আসে, এবার বিদায় নাও। এরপর অবশ্য আইপিএল পর্যন্ত খেলেন। কিন্তু খুব দারুণ কিছু নয়। কথিত আছে ভারতীয় ক্রিকেটে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সাহায্য নাকি সৌরভ পেয়েছেন বারবার।
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বহুবার সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বলে খবর। এমনটাও শোনা গিয়েছে, তাঁকে নাকি রাজনীতিতে আসতে অনুরোধ করাও হয়েছিল। বছর দুয়েক আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কমিটিতে পরিবর্তন আসে। অনেককে টপকে সৌরভ হয়ে যান বোর্ড সভাপতি। বোর্ড সচিবের দায়িত্বে আসেন অমিত-পুত্র জয় শাহ। সম্প্রতি জয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের বিশেষ দায়িত্বে। একবার আইসিসি বা বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতি হিসাবে নাম ভেসে ওঠে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সূত্র মারফত বুধবারের শেষ খবর, খুব সমস্যা না হলে সৌরভই বসতে চলেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ সিংহাসনে।