একটা যুগ শেষ হয়, আরেকটা যুগের শুরু হয় তারপরেই। বিশ্বের সেরা ব্যাটাররা ৭০ দশক থেকে ভারত থেকেই উঠে এসেছে। প্রথমে সুনীল গাভাস্কার, শুরু ১৯৭১ এ, শেষ ১৯৮৭ র বিশ্বকাপের (World Cup) পর। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রান এবং সবথেকে বেশি সেঞ্চুরির (Century) রেকর্ড তাঁর ঝুলিতে। এর দুবছর পর আবির্ভাব সচিন তেন্ডুলকরের। ক্রিকেটের ভগবান বলা হত তাঁকে। ১০০ সেঞ্চুরি সহ প্রায় সব রেকর্ডই তাঁর ঝোলায়। হয়তো ব্র্যাডম্যানের সঙ্গে তুলনা টানা হতে পারে। কিন্তু ব্রাডম্যান অল্প ওভারের ক্রিকেট তো খেলেননি। ফলে এই তুলনা যুক্তিহীন। সচিনের রেকর্ড ভাঙা আগামী পঞ্চাশ বছরে অসম্ভব, জানিয়েছেন তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রায়ান লারা।
সচিন খেলায় থাকতেই আবির্ভাব হয় বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। অসাধারণ ব্যাটিং তাঁকেও বিশ্বসেরা করেছিল একটা সময়ে। কিন্তু গত প্রায় আড়াই বছর একেবারেই ফর্মে নেই তিনি। সেঞ্চুরি তো নেই, ৫০ রানও কত আছে সন্দেহের। এভাবে কোনও সেরা খেলোয়াড়কে সম্পূর্ণ ফর্ম হারাতে কেউ দেখেছে কি?
দলের নেতৃত্ব ছাড়লেন ব্যাটিংয়ে (Batting) মন দেবেন বলে। কিন্তু তাতেও কাজ হল না কিছুই। ইদানীং টি২০ ম্যাচেও রান পাচ্ছেন না। বহুদিনের রয়্য়াল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর নেতৃত্ব ছেড়েছেন। এবারে চালু আইপিএলের (IPL) ম্যাচে জঘন্য ফর্মে কোহলি। খুব সাধারণ বলে আউট হয়ে যাচ্ছেন। ফিল্ডিংও (Fielding) করতে পারছেন না ঠিকমতো। তিনি কি মানসিকভাবে খেলায় নেই? প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেট মহলে। তাঁর প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, বিরাটের বিশ্রাম দরকার। আইপিএল শেষ হলেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টি ২০র পাঁচটি ম্যাচ। তিনি হয়তো এই টুর্নামেন্ট থেকে বিশ্রাম নিতে পারেন। তারপর আসন্ন টি ২০ বিশ্বকাপে ফিরে আসবেন। কিন্তু বিশ্রাম নিলেই কি ফর্ম ফিরে পাবেন। বিরাটের দরকার মনোবিদ, বলছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিরাট নিজেও বুঝেছেন, তাঁর আসল খেলা হারিয়ে ফেলেছেন। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নাকি আইপিএলের পর বিরাটের সঙ্গে বসছে।