আজকের ক্রিকেট মানেই সীমিত ওভারের খেলা। সীমিততম বললেও ত্রুটি হবে না। একটা সময় ৫ দিনের ক্রিকেট ছিল, যদিও আজও আছে। কিন্তু আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে তার মূল্য কতটুকু? আগে ৫ দিনের টেস্ট ম্যাচে কখনও জয়পরাজয় হত, কখনও থাকত অমীমাংসিত। ডন ব্র্যাডম্যান থেকে সুনীল গাভাস্কারের শৈল্পিক খেলা দেখতে পারাটাই ছিল দস্তুর। সারাদিনে হয়তো ২০০ রান অথবা ৩০০ রান উঠত, সেটাই উপভোগ করত দর্শক। সারাদিনে ভিভ রিচার্ডসের হুক কিংবা বিশ্বনাথের দু-একটি স্কোয়ারকাট দেখার জন্যই দর্শক ৫-৬ ঘন্টা মাঠে বসে থাকত।
দিন পাল্টেছে। এসেছে ৫০ ওভারের জয়-পরাজয় নিষ্পত্তি হওয়ার খেলা। প্রতি ৪ বছর বাদে বাদে এই খেলার বিশ্বকাপ পর্যন্ত আছে। এতেও খামতি নেই। এল আরও ছোট ক্রিকেট ২০ ওভারের প্রতিযোগিতা। বলা হল অফিসবাবুদের জন্য এই ক্রিকেট। অফিস ছুটি হলে মাঠে চলে এসে রাত ১০ টার মধ্যে খেলা শেষে বাড়ি ফিরে যাও। টি ২০। এরও বিশ্বকাপ আছে। তবে সবথেকে আকর্ষণীয় আইপিএল, যা কিনা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মগজ প্রসূত। জমজমাট এই টুর্নামেন্ট প্রতি বছর ভারতেই হয়ে থাকে। ব্যতিক্রম দু-একটি বছর, বাইরে খেলা হয়েছে।
কোটি কোটি টাকা দিয়ে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের কিনে নিয়ে এই টুর্নামেন্ট আজ এক লাভজনক বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। বুধবার রাতে কলকাতার দল কেকেআর তার চিরকালের প্রতিদ্বন্দ্বী মুম্বই ইন্ডিয়ানসের সঙ্গে খেলতে নামল। বহু যুগ বাদে তারা জয় পেল এক ভয়ঙ্কর ক্রিকেটারের জন্য। প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। ফাস্ট বোলার হিসাবে খ্যাত, কিন্তু ধুমধাড়াক্কা ব্যাটটাও করে দিতে পারেন। কাল মস্ত বিপাকের সময় যখন কেকেআরের ৬টি উইকেট পড়ে গিয়েছে, রান দরকার ৬০ এর উপরে, কামিন্স ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫ বলে ৫৬ রান করে দলকে জিতিয়ে আনলেন। এই ব্যাটিং বোধকরি বিশ্বের দ্রুততম। ৪টি বাউন্ডারি এবং ৬টি সিক্সার মেরে রান তুলে নিশ্চিন্ত করলেন দলকে। আজ সোশ্যাল নেট থেকে প্রচার মাধ্যমে একটাই কথা, বুমবুম কামিন্স।