করোনা আবহে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুব খারাপ। কিন্তু তারই মধ্যে হইচই চলেছে ক্রিকেট নিয়ে। সৌরভ গাঙ্গুলি বোর্ডের দায়িত্বে আসার পর ক্রমাগত ক্রিকেট বেড়েই চলেছে। আগে এত ক্রিকেট হত না। আসলে ভারত বা পাকিস্তানে ক্রিকেট হত সাধারণত শীতকালে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট হত গ্রীষ্মকালে। এটাই দস্তুর ছিল ক্রিকেটে। সত্তর দশকের মধ্যভাগে প্রচুর খেলা বেড়ে গেল। কারণ এক দিবসীয় ক্রিকেট পুরোদস্তুর বাজারে চলে এসেছে। শুরু হল বিশ্বকাপ। সুতরাং টেস্টের সাথে তাল মিলিয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেট স্থান নিয়ে নিল। কোনও দেশ অন্য দেশ সফর করলে একই সাথে টেস্ট ও ওয়ান ডে খেলে। এরপর ফের নতুন টি ২০। দেখা গেল, অজস্র ক্রিকেট সারা বছর ধরে খেলতে হচ্ছে একজন ক্রিকেটারকে। তার সঙ্গে কোটি কোটি টাকার লেনদেন। স্পনসর থেকে গেট টিকিট।
দেখা যাচ্ছে, অন্য দেশের তুলনায় ভারতকে অনেক বেশি ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে। কারণটি শুধু দেশের হয়ে ক্রিকেট নয়, তার সঙ্গী আইপিএল, যা কিনা তিন মাস ধরে হয়ে থাকে। যদিও বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলে থাকেন। তবুও নিজের দেশে এই বিদেশিদের খেলা থাকে অপেক্ষকৃত কম। কিন্তু এতো ক্রিকেট খেললে খেলোয়াড়ের ক্রিকেট জীবন শেষ হয়ে যাবে, তা কি বোঝেন না সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি নিজেও ক্রিকেট অধিনায়ক ছিলেন, অভিজ্ঞতাও প্রচুর। তবুও এতো ক্রিকেট খেলিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লান্তি এনে দিচ্ছেন কেন, উঠেছে প্রশ্ন। চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে বা বিরাট কোহলিরা বিশ্বের নামিদামি খেলোয়াড়। তার মধ্যে পূজারা ও রাহানের খেলার গতি থেমে গিয়েছে। দল থেকে বাদ পড়ছেন এই দুই ক্রিকেট প্রতিভা। সৌরভ অবশ্য টোটকা দিয়েছেন, যাও স্টেট ক্রিকেট খেলে নিজেকে প্রমাণ করো। সে তো সময় বলবে। কিন্তু সৌরভ যুগে অর্থের সন্ধানে ক্রিকেটারদের শেষ করে দেওয়াটা কি ঠিক হচ্ছে?