অভিষেক। তবে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নন। ইনি সিএবি-র সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া, প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার পুত্র। বাংলা ক্রিকেট থেকে ভারতীয় ক্রিকেটকে বিশ্ব ক্রিকেটে তুলে নিয়ে এসেছিলেন ডালমিয়া। শুধু তাই নয়, আজ ভারতীয় ক্রিকেট যে একটি ধনী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, তার জন্য সমস্ত কৃতিত্ব অবাঙালি হয়েও সর্বকালের সেরা বাঙালিদের অন্যতম 'জগুদা'র। আজকের অরুণলাল থেকে সৌরভ গাঙ্গুলি হয়ে বাংলার যে যে ক্রিকেটার ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে, তার পিছনে আশীর্বাদের হাত ছিল জগুদার।
একটা সময় ডালমিয়াকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চলেছিল এবং এর পিছনে শারদ পাওয়ার থেকে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন বলেই খবর। ডালমিয়া সরে যেতেই সৌরভকে দল থেকে ছিটকে ফেলা হয়, যে সৌরভকে শুধু ভারতীয় দলে প্রতিষ্ঠা করা নয়, অধিনাকত্বের মুকুট পরিয়েছিলেন ডালমিয়া বা জগুদা। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ফের জগমোহন ডালমিয়া বিসিসিআই-এর সভাপতি হন। কিন্তু শরীর ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। চলেও গেলেন দ্রুত। জগুদা জ্যোতি বসু এবং সুভাষ চক্রবর্তীর প্রিয়পাত্র ছিলেন। পরবর্তী আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়পাত্র হন।
ডালমিয়ার মৃত্যুর পর মমতার সক্রিয়তায় সৌরভ বাংলা বোর্ডের সভাপতি এবং জগুদার পুত্র অভিষেক সচিব হন, বর্তমানে সভাপতি। অভিষেক বাবার মতোই তৎপর এবং বাংলা ক্রিকেটের জন্য প্রাণপাত করার মতো ছেলে। জগুদা বাংলার জামাই ছিলেন অর্থাৎ তাঁর স্ত্রী বাঙালি ছিলেন। অভিষেক অবশ্য পুরোদস্তুর বাঙালি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রতিবেদককে জানালেন, ক্যালকাটা টেলিভশন নেটওয়ার্ক বাবার পক্ষ নিয়ে রাতের পর রাত যে প্রতিবাদী অনুষ্ঠান করেছে, তাতে আমাদের পরিবারের সবাই আপ্লুত। এখন কী করছ অভিষেক? প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, জেলাস্তর থেকে কলকাতায় ক্রিকেটের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। আন্ডার ১৯, আন্ডার ২৫ এর দিকে তাকিয়ে দেখা ভারতীয় ক্রিকেটকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলা। ২,২০০ ক্রিকেটার খেলেছে, সবাইকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বাদ একমাত্র ৮৫ জন, যেহেতু তারা ১৫ বছরের নিচে। অভিষেক জানালেন, এখন ঈশান পড়ল থেকে রবিকুমার, আকাশদীপ ইত্যাদি খেলোয়াড়রা ভারতীয় স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের লিস্টে রয়েছে। ঋদ্ধি, স্বামী নিয়মিত ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। টি ২০ তে আমরা অনেকে এগিয়ে। স্বপ্ন অনেক।
অবশ্য তিনি বললেন, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস খুব সাহায্য করছেন। আরেকটা জগুদা উঠে আসছে পুত্র অভিষেক হিসাবে।