২৯ মার্চ, ২০২৪

Vande Bharat Express: দেশীয় প্রযুক্তির নয়া চমক, কী কী সুবিধা পাবেন?
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-19 13:03:28   Share:   

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হুম এখন যে নামটা প্রত্যেক রেল যাত্রীর মুখে মুখে। কী এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস,  আর কেনই বা এত নাম ডাক এই সেমি হাই স্পিড ট্রেনের। তার কারণ অবশ্য অনেক প্রথমত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-সহ সেমি হাই স্পিড ট্রেন, পরিষেবা খুব ভাল, মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে ভাড়া। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় যেটা, সেটা এটা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো ট্রেন। ভারতীয় রেলের একটি বিভাগ আইসিএফ বা ইন্ট্রিগাল কোচ ফ্যাক্টরি।


তামিলনাড়ু জেলার চেন্নাইতে অবস্থিত। ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে এই ট্রেনের ট্রায়াল করা হয়েছিল প্রাথমিক স্তরে। সেই অনুসারে ট্রেন টি কে অনেকে ট্রেন-১৮ বলা হয়। ট্রেনটির সর্বাধিক গতিসীমা ১৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা।


ট্রেনটি মাত্র ১৩০ সেকেন্ডে সর্বাধিক গতি তুলতে সক্ষম । প্রথম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে নিউ দিল্লি থেকে বারানসি স্টেশন পর্যন্ত। তারপর ১৭ই ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিক ভাবে চলাচল শুরু করে ট্রেনটি। ট্রেনটির দুই রকমের কোচ একটি CC ও অপর টি EC  অর্থাৎ একটি চেয়ার কার ও একটি এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার। ভারতে এই মুহূর্তে ৮ টা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আছে।


গত ৩০শে ডিসেম্বর ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ভার্চুয়াল) ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব , পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা  ফ্ল্যাগ অফ করে হাওড়া - নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের মধ্যে বন্দে ভারতের উদ্বোধন করেন। ২রা জানুয়ারি ২০২৩ বানিজ্যিক ভাবে চলাচল করে। ট্রেন টি সকাল ৫টা ৫৫ তে ছেড়ে  বেলা ১টা ২৫ মিনিটে এন জে পি ষ্টেশনে পৌছায়।


৭ঘন্টা ৩০ মিনিটের এই যাত্রায় আপনাকে ভাঁড়া দিতে হবে - AC Chair Car (CC)তে ১৪৫৫ টাকা ও Executive Chair Car (EC) তে ২৬০০ টাকা। বোলপুর , মালদা, বারসই ষ্টেশনে ট্রেনটির স্টপেজ রয়েছে । সপ্তাহে ৬দিন চলাচল করবে ট্রেনটি। দেওয়া হবে খাবার। সকালে ব্রেক ফাস্ট, দুপুরের লাঞ্চ আবার ফিরতি পথে বিকেলের স্ন্যাক্স ও ডিনার দেওয়া হবে। সাথে দেওয়া হবে সন।


এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের সিট গুলি আবার ১৮০ ডিগ্রি ঘোরানো যায়। অর্থাৎ জানলার দিকে মুখ করেও বসতে পারবেন যাত্রীরা।ট্রেনটিরগতিবেগের কথা মাথায় রেখে ট্রেনটির ডিজাইন ও ফাইবার বডি করা হয়েছে।ট্রেনটির টেস্টিং স্পিড ১৭৬ কিমি প্রতি ঘন্টা হলেও এর সার্ভিস স্পিড ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা হবে। ট্রেনটির ব্রেকিং সিস্টেমে রয়েছে পিস্টন টাইপ অয়েল ফ্রি এয়ার কম্প্রেসর ও এয়ার ইউনিট। ইলেক্ট্রো নিউমেটিক, ও মাইক্রোপ্রসেসর কন্ট্রোলড ব্রেক যেটি সরাসরি ব্রেক হিসেবে কাজ করে। Towing Mode অপারেশন ব্রেক ও আছে যেটি indirect ব্রেক হিসেবে কাজ করে। চাকায় ব্রেক মাউন্ট করা থাকে ব্রেক ক্যালিপার ইউনিটস এর সাথে। ইলেক্ট্র-ডায়নামিক ব্রেক প্রধান ব্রেক সিস্টেম। প্রয়োজনীয় সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত এই ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ। 

ট্রেনের বিশেষ কিছু প্রজুক্তি ও রয়েছে দেখে নিন-

✔ কেন্দ্রীয় ঘোষণা সিস্টেম রয়েছে। যা চালক বা ট্রেন ম্যানেজার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

✔ উন্নত যন্ত্রপাতি সহ ট্রেন পরিষ্কারের সুবিধা।

✔ ট্রেনের ভিতরে সম্পূর্ণ সি সি টিভি ক্যামেরা দ্বারা নজরদারি আছে। 

✔ দক্ষ/বিশেষজ্ঞ  দ্বারা ট্রেনটি মেইন্টেনেন্স করা হয়

✔ অগ্নিনিরবাপক সুরক্ষার জন্য অ্যালার্ম সিস্টেম রয়েছে। 

✔ যাত্রী সুরক্ষার কারনে ট্রেনের দরজাগুলি সয়ংক্রিয়।


ভিডিও সৌজন্যে : ICF




Follow us on :