Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: এক সময়ে শোনা যেত উত্তমকুমার খুব খাদ্যরসিক ছিলেন। খুব যে একটা পেটভরে খেতেন এমন নয়, কিন্তু নানা স্বাদের খাওয়ার অল্প অল্প করে খেতেন। তাঁর স্টুডিওর খাবারের প্রতি খুব একটা ঝোঁক ছিল না। স্টুডিওতে শুটিংয়ের ফাঁকে বারবার ভাঁড়ের চা খেতেন। মহানায়কের দুপুরের খাবার আসতো তাঁর ময়রা স্ট্রিটের বাড়ি থেকে। নিজে হাতে রান্না করে ডেচকি ভরে খাবার পাঠাতেন সুপ্রিয়া দেবী। কোনও দিন ইলিশ মাছ, কখনও চিংড়ি, কখনও চিকেনের পাতলা ঝাল ঝোল। উত্তমবাবু একা খেতেন না, অন্য শিল্পীদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে ভালোবাসতেন। সুপ্রিয়া দেবী যেহেতু পূর্ববঙ্গের মেয়ে ছিলেন, তাই তাঁর হাতের বাঙাল রান্নার উপর ঝোঁক ছিল উত্তমের।
এ ছাড়া প্রায় রাতে জমিয়ে ডিনার চলতো বিদেশী স্কচ সহযোগে। বিকেলের দিকে শুটিংয়ের পরে তিনি কখনও ভবানীপুরের বাড়িতে গেলে স্থানীয় এক তেলেভাজার দোকান থেকে তেলেভাজা আসতো। মুড়ি লঙ্কা ও চা সহযোগে তাই জমিয়ে খেতেন। কিন্তু আজকের দিন উত্তমকুমারের নয়, রাজ কাপুরদেরও নয়।
রাজ কাপুরদের ট্র্যাডিশন ছিল মাসের ৩০দিন ৩০ রকমের ডিশের। সেই প্রথা আজ তাঁর নাতি-নাতনি রণবীর, করিশ্মা বা করিনা, কেউ মানেন না। আজকাল অভিনেতারা শরীর সচেতন। বহু অভিনেতা আছেন যাঁরা মদ সিগারেট কিছুই খান না। যেমন অক্ষয় কুমার শুধু ফলের রস ও একটি টোস্ট খেয়ে কাজে বেরিয়ে যান। দুপুরে সামান্য সেদ্ধ চিকেন এবং ফল। রাতের খাবার যে ভাবেই হোক ৮টার মধ্যে সেরে ফেলবেনই আর সাড়ে ৮টার মধ্যে ঘুম। ডিনারে সেদ্ধ সবুজ সবজি, একটি রুটি, কখনও আবার চিকেন রোস্ট।
শাহরুখ খানের পছন্দ আবার রোস্ট করা মাংসের দিকে, কিন্তু মোটেই ভাজাভুজি নয়। আজকের নায়ক নায়িকারা ভাজাভুজি একেবারেই খান না। কেউ কেউ খিচুড়ি খেতে ভালোবাসেন। গ্রিল্ড ফিশারের প্রতি আকর্ষণ অনেকের আছে। রানী মুখার্জি তো জানিয়েছেন তাঁর প্রিয় খাদ্য মাছের ঝোল। দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পীরা কিন্তু ভাত বা চাল-ডাল সহযোগে খেয়ে থাকেন রসম টক দই। আসলে কোটি কোটি টাকার মালিক চলচিত্রশিল্পীরা খাওয়া নিয়ে সময় নষ্ট করতে চান না।