Share this link via
Or copy link
ডান পা ভেঙে দু টুকরো হয়ে গেছে। জটিল অস্ত্রোপচার করে বসানো হয়েছে প্লেট। কিন্তু তাতেও ভেঙে পড়েনি মাম্পি। মনের জোরে অস্ত্রোপচারের একদিন পরেই নার্সিংহোমের বিছানায় শুয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে সে।
হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া চারাবাগান এলাকার মাম্পি কুন্ডু গুপ্তিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল। কয়েকটি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে দেওয়াও হয়ে গিয়েছিল। তারপরই দুর্ঘটনা। ১৩ ই এপ্রিল সাইকেলে চেপে প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে যাচ্ছিল মাম্পি। তখনই উল্টোদিক থেকে আসা প্রচণ্ড গতির একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে মাম্পি। স্থানীয়রা এবং বাড়ির লোক তাকে নিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। এক্স-রে করে দেখা যায়, ডান পায়ের থাই বোনটি ভেঙে দু টুকরো হয়ে গেছে। মাম্পিকে নিয়ে আসা হয় চন্দননগরের একটি প্রাইভেট নার্সিং হোমে। সেখানেই ডক্টর ভাস্কর দাসের তত্ত্বাবধানে পায়ে অপারেশন করে থাই বোনে একটি বড়সড় প্লেট বসানো হয়।
মাত্র একদিন আগে অপারেশন হলেও মনের জোরে শুক্রবার নার্সিংহোমের বিছানায় শুয়েই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল মাম্পি কুন্ডু। তাকে আজকে এইভাবে পরীক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারার জন্য বেজায় খুশি ডক্টর ভাস্কর দাস। তারই সাথে প্রশংসা করছেন মাম্পির মনের জোরের। আশা করছেনস, খুব তাড়াতাড়ি সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।