বিশ্ববাণিজ্য থেকে ভারতের অর্থনীতিতে ধাক্কা প্রবল। পেট্রোলিয়াম থেকে দৈনিক সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া। ভারত লাগোয়া দেশ যথা পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ সহ বাকি দেশগুলির অবস্থা খুব সঙ্কটজনক। অদূর ভবিষ্যতে সমাধান হওয়ার কোনও আশা দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা। আজকের বাজারে আমদানি-রফতানি থেকে অর্থ ভান্ডার বাঁচানো খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। ভারতের শিল্প-বাণিজ্য বাজার কিন্তু মুম্বই সিনেমা এবং দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা অনেকটাই দখল করে আসছিল। আম্বানি থেকে বহু ব্যবসায়ী সিনেমা শিল্পে টাকা ঢেলেছেন, লভ্যাংশও এসেছে বিপুলভাবে।
কিন্তু করোনা আবহ থেকেই সিনেমা শিল্পের উপর লোকসানের চিত্র দেখা যাচ্ছিল, যা ইদানিং ভয়ঙ্কর। হলে গিয়ে সিনেমা দেখবে কে? টিকিটের মূল্য ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা। মানুষ খাবে না সিনেমা দেখবে? আজকের বাজারে সুপারস্টার নামক খ্যাতিটি প্রায় বিদায় নিচ্ছে। যে উন্মাদনা রাজেশ খান্না, অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান অবধি ছিল, তা আজ কোথায়?
সম্প্রতি এক প্রযোজক একটি ছবির জন্য দুই অভিনেতাকে ঠিক করেছিলেন। অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ (জ্যাকিপুত্র, সম্প্রতি খুব খ্যাতি হয়েছে)। ছবির নাম বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা। অক্ষয় এই ছবির জন্য দাবি করেছিলেন ১৪৪ কোটি এবং টাইগারের দাবি ছিল ৩৫ ও ২৫ কোটি। প্রযোজকরা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন সম্ভব নয়। মুম্বইয়ের প্রযোজকরা দেখেছেন, ছবি তেমন বাজারে চলছে না। বিশেষ করে অক্ষয়ের ছবি সম্প্রতি পরপর ফ্লপ করেছে, অর্থ নষ্ট হয়েছে বিস্তর। অন্যদিকে শাহরুখ, সলমন বা আমির যেমন বছরে বা দু বছরে একটি ছবির কাজ করেন, অক্ষয় তেমনটি নন। তিনি নিজেই এক সাক্ষৎকারে জানিয়েছিলেন, একাধিক ছবি বছরে করতে তিনি অভ্যস্ত। ফলে ছবি ফ্লপ, যা একসময় তাঁর প্রয়াত শ্বশুর রাজেশের হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত অর্ধেক মূল্যে ছবিতে সই করেছেন অক্ষয়। টাকার দাবি কমিয়েছেন টাইগার। এটাই কি বলিউডের ভবিষ্যৎ?