২৯ মার্চ, ২০২৪

Ramkrishna: মহাসাধিকা গৌরী মা ও ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ (শেষ পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-23 10:11:47   Share:   

সৌমেন সুর: হিমালয় (Himalaya) থেকে তপস্যা শেষ করে দক্ষিণেশ্বরে ফিরেছেন সাধিকা গৌরী মা (Gouri Maa)। ঠাকুর রামকৃষ্ণের (Ramkrishna) খুব আনন্দ। ঠাকুর গৌরী মা-কে খুব স্নেহ করেন, ভালবাসেন। একদিন ঠাকুর দেখলেন গৌরী মা ভোরবেলায় ফুল তুলছেন। সেই সময় ঠাকুর ওকে বিধান দেন, 'গৌরী তোর ঢের সাধন ভজন হয়েছে। এবার তোর তপস্যাপূত দেহ মায়েদের সেবায় নিবেদন কর। এখানকার মায়েদের বড় কষ্ট। ওদের বাঁচা গৌরী।' প্রথম পর্বের পর...

এদিকে শ্রীশ্রী ঠাকুরের দেহত্যাগের পর সারদা মায়ের শোক নিবারনের জন্য ভক্তরা তাঁকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য বৃন্দাবনে নিয়ে আসেন। এখানে মায়ের সঙ্গে গৌরী মায়ের সাক্ষাৎ হলে, সারদা মা বলেন, 'গৌরী দাসী ঠাকুরের কথা তোর মনে আছে তো?' গৌরী মা উত্তরে বলেন, 'ঠাকুর যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা কি আমার দ্বারা সম্ভব? তার চেয়ে এই বেশ ভালো আছি জপ করবো আর তোমার সেবা করবো।' সারদা মা গৌরী মা-কে বোঝালেন, 'ঠাকুরের কথায় সুয্যি ওঠে, চন্দ্রিমা ওঠে আবার অস্ত যায়। তাঁর কথার মানে তুমি গভীরভাবে চিন্তা করো। গৌরীদাসী তুমি ঠাকুরের নির্দিষ্ট করা মঙ্গলঘট। এই ঘটেই প্রতিষ্ঠা হবে নারী সমাজের সর্ব শুভ সংকল্প।'   

মায়ের এই অভয়বাণীতে গৌরী মায়ের মনে জাগিয়ে তুললো আত্মবিশ্বাস ও নির্ভীকতা। স্থির করলেন ঠাকুরের সংকল্পকে বাস্তবে রূপায়ন করবেন। এরপর কলকাতার অনতিদূরে গ্রাম্য পরিবেশ ব্যারাকপুরে দেড় বিঘা জমির উপর গড়ে তুললেন শ্রী শ্রী সারদেশ্বরী আশ্রম। এই কন্যা আশ্রমের প্রথম কন্যা হলেন দুর্গাপুরী মা। মা সারদা এলেন আশ্রম দেখতে এবং দেখে ভীষণ খুশি হলেন।

প্রথমদিকে ২৫ জন বিধবা ও বালিকা বাস করতেন। আশ্রমে বেদান্ত, গীতা, শাস্ত্র ইত্যাদি পাঠ হতো। শিল্প শিক্ষাও দেওয়া হতো। এই শিক্ষায় মজবুত হয়ে তাঁরা যেন স্ব-স্ব উপার্জনে  বহাল থাকতে পারে তাঁর চেষ্টা করা হতো। স্বামীজি বার দুয়েক এসেছেন এই আশ্রমে।আশ্রমের ক্রিয়াকলাপ তাঁকে মুগ্ধ করে। ধীরে ধীরে এই আশ্রম বেড়ে ওঠে। একসময় ২৫ জন শিক্ষিকা ও ৩০০-র মতো ছাত্রীর সমাগম হয় এই আশ্রমে।

কথা হলো শ্রী রামকৃষ্ণের নির্দেশে গৌরী মা অসাধ্য সাধন করলেন। নারীজাতির মঙ্গল সাধনে তাঁর অপরিসীম কর্মকাণ্ড সমাজে একটা মাইলস্টোন। 


Follow us on :