১৭ এপ্রিল, ২০২৪

Special: অমৃতের স্বাদ নোনতা, জানুন মহিলা কবি কামিনী রায়কে
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-31 18:23:53   Share:   

সৌমেন সুর: উনিশ শতকের মহিলা কবি ও সাহিত্যিক হিসাবে যে স্বীকৃতি তাঁদের প্রাপ্য ছিল, তা তারা পাননি। তৎকালিন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা ছিলেন পুরুষদের হাতের পুতুল। শিক্ষা,অধিকার, সামাজিক সুযোগ-সুবিধা,কিছুই তাঁদের ভাগ্যে জোটেনি। উনিশ শতকে নারীমুক্তি ও নারীশিক্ষা নিয়ে যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়েছিল, তারই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে বাংলার নারীরা আপন ভাগ্য জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই সেই সময়ে মহিলা কবি সাহিত্যিকদের কলম থেকে বেরিয়ে এসেছে ব্যক্তিগত প্রেম, ভালোবাসা, প্রতিবাদ বিষাদ, শোক, আত্মকথা, আশা নিরাশা, প্রার্থনা, সুখ-দুঃখ ও পরাধীনতার মুক্তির বার্তা।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবি কামিনী রায়। তিনি যে একদিন কবি হবেন, শৈশবেই তাঁর প্রতিভা দেখে বোঝা গিয়েছিল। মাত্র ৮ বছর বয়সে কবি লেখা শুরু করেন এবং ১৫ বছর বয়সে প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আলো ও ছায়া' প্রকাশিত হয়। পরাধীন ভারতের প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার শৃংখলামোচনে কবি নিজেকে উৎসর্গ করে লিখেছেন-'মা আমার' কবিতায় - 'সেই দিন ও চরনে ডালিদিনু এ জীবন / হাসি-অশ্রু সেইদিন করিয়াছে বির্সজন / হাসিবার কাঁদিবার অবসর নাহি আর / দুঃখিনী জনমভূমি মা আমার মা আমার।'

কবি জানতেন, আত্মশক্তি মানুষের আসল শক্তি। আত্মবিশ্বাস মানুষের মনে শক্তি যোগায়। তাই তিনি মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস জাগাতে লিখলেন-'হাত পা তো সকলেরই আছে /  সকলের জোর আছে গায় / মাথা পারে সব খাটাতে / কে কাহার অনুগ্রহ চায়।'

জায়গার অভাবে অনেক কথা ছিল-বলতে পারলাম না। তবে শুধু কামিনী রায় নয়, নীরজাসুন্দরী দেবী, তরু দত্ত, স্বর্নকুমারী দেবী আরো অনেকেই উনিশ শতকে যোগ্য সম্মান পাননি।


Follow us on :