Share this link via
Or copy link
বৃহস্পতিবার বিকেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হারালেন মন্ত্রিত্ব, সন্ধ্যায় গিয়েছে দলের সদস্যপদ। এমনটা হবে বুঝতে পেরেছিলেন কি পার্থ? তাঁর মুখ থেকেই শোনা এক ঘটনা, যা তিনি বেশ গর্ব নিয়ে বলেছিলেন একসময়। সময়টা বাম জামানার শুরুতে, আশুতোষ কলেজের অর্থনীতির ছাত্র ছিলেন তিনি।পড়াশোনার সঙ্গে কংগ্রেসের ছাত্র রাজনীতিতেও ঢুকে গিয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁর নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ওই সময়ে ছাত্রনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম সরকারের বিরুদ্ধে কী এক আন্দোলনে জড়িয়ে গিয়ে পুলিসের হাতে বন্দি হয়েছিলেন পার্থ। সম্ভবত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কালীঘাট থানায়। তাঁকে উদ্ধার করতে নাকি সুব্রত আসেননি, এমনটাই জানিয়েছিলেন পার্থ।
এরপর থানায় হাজির হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান এই গল্প তিনি প্রায় সব ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকদেরই করেছিলেন।এবারও হয়তো ভেবেছিলেন ত্রাতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত হবেন। কিন্তু এবার ঘটনা লজ্জার। বাংলার নগ্ন দুর্নীতিগুলোর মধ্যে পড়ে এবার পার্থর গ্রেফতারি। কাজেই মমতা কেন, কেউই তাঁর দায়িত্ব নিতে নারাজ। ফলে একদা প্রবল ক্ষমতার অলিন্দে থাকা, পার্থের ভাষায় মমতা ক্যাবিনেট সদ্যপ্রাক্তন নম্বর টু আজ একা, অসহায়।
খাদ্যরসিক চীনা খাবারের ভক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আজ আর কোনও খাবারে রুচি নেই। শোনা যায় ইডি দফতরে প্রভাবশালীদের জেরা করার ফাঁকে সকাল, দুপুর বা রাতের খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে নাকি কোনও ত্রুটি রাখা হয় না। শোনা যায়, প্রথম জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে পার্থ নাকি চিকেন স্যান্ডুইচ খেতেই পছন্দ করতেন। পরে যখন গ্রেফতার হন, তখন খাওয়ার ইচ্ছেটাই চলে যায় পার্থর। তাঁর ভাতের উপর একটা ঝোঁক আছে। তিনি ভাত রুটি ডাল কখনও সবজি খাচ্ছেন তাও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। কিছুটা খেয়ে আর খেতে চাইছেন না তিনি। এখন যেন দিন গোনা, কবে চার্জশিট পড়বে, তারপরেই তো জেল যাত্রা, যা মোটেই সুখের নয়।