প্রসূন গুপ্ত: কেকে এক নামজাদা শিল্পী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে মর্মাহত সারা দেশের সংগীতপ্রেমীরা। স্বাভাবিক তা। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে জটিলতা দুদিন বাদেও অব্যাহত রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর জন্য ডাক্তার কুণাল সরকার যে বাক্যব্যয়ে জর্জরিত করেছেন আজকের যুব মহলকে, তাতে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অন্যদিকে রূপঙ্করের ফেসবুক লাইভে প্রয়াত কেকে-কে নিয়ে তাঁর মন্তব্যে তো ঝড় উঠেছে। এখানেও সোশ্যাল নেটের মানুষরা প্রায় তাঁকেই দায়ী করেছেন। অথচ রূপঙ্কর কী বলেছেন, তা জানারই কথা নয় কেকের। কেকের মতো পেশাদাররা এসব নিয়ে আদৌ মাথা ঘামান কি? কেন শিল্পীমহল প্রাণভরে রূপঙ্করকে গাল পারছেন না, তা নিয়েও ফেসবুক গরম। অবস্থা দেখে মৃত্যুর ৩০ ঘন্টা বাদে মুখ খুলছেন শিল্পী মহলের একাংশ।
কেউ বলছেন পেশার জেলাসি, কেউ বলছেন রূপঙ্করের যোগ্যতাই নেই ইত্যাদি। সিনেমা শিল্পী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, রূপঙ্কর কেন নিজের পেশা ছেড়ে টিভি সিরিয়াল বা সিনেমায় আসছেন।
এইসব হাওয়া গরম করা কথা। কিন্তু এঁদেরই পেশাদারি জেলাসি প্রমাণ করছে, যাঁরা রূপঙ্করকে সমালোচনা করছেন। যদিও রূপঙ্করের দোষ তাতে খণ্ডন করা যায় না। রূপঙ্কর এর আগেও কাজ পাচ্ছেন না বলে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। এই পরিমাণ যদি নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ না হয়, তবে আগামী দিনে বাংলায় কোনও সেলিব্রেটি কাজ করতেই চাইবেন না। ফলে এই প্র্যাকটিস বন্ধ হওয়া বাঞ্ছনীয়।