Share this link via
Or copy link
সুজিত সাহা: নাটক করা বা দেখার সঙ্গে যুক্ত কম বেশি প্রায় সকলেই। শুধুমাত্র দেখা বা উপস্থাপনের ধরন খানকিটা অন্যরকম। আমাদের চোখের সামনে বা আড়ালে কিছু কিছু ঘটে যাওয়া ঘটনা, নানা সম্পর্ক, অভিজ্ঞতার উপস্থিতি হয়তো শৈল্পিক রূপ পায় না। কিন্তু কিছু মানুষ তার অনুভূতি ও বাস্তবতার নিবিড় সম্পর্ক তৈরিতে জন্ম নেয় নতুন ধারার নাটক। ইদানিংকালে নাটক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার শেষ নেই। এগিয়ে চলার ধারা অব্যাহত এটা যে কোনও মাধ্যমের ক্ষেত্রেই শুভ লক্ষণ। ব্যক্তি জীবনে সম্পর্কের রূপ, ধরন, অভিজ্ঞতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন বদলায়, তেমনই চলার পথে কত নতুন সম্পর্কের জন্ম হয়। প্রতিনিয়ত প্রেক্ষিত অনুযায়ী দর্শনগত পার্থক্য উপলব্ধি করে থাকেন মননশীল মানুষ। আজ যে জিনিস নিয়ে যেভাবে ভেবেছেন কেউ, দুদিন বাদে সেই জিনিস নিয়েই হয়তো ঠিক অন্যরকম ভাবে ভাববেন। নির্দিষ্ট বলে কিছুই হয় না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুর হয়তো পরিবর্তন হয়।
'অন্তরঙ্গ' থিয়েটারও ঠিক তাই। তোমার আজকের সম্পর্ক, অভিজ্ঞতার সঙ্গে কালকের চলনের মিল নাও হতে পারে। আজকের সংলাপ, উপস্থাপন আগামী দিনে তার ভাষা একই থাকবে তার কোনও মানে নেই। এই নাটক এক অন্তরের সঙ্গে অন্য অন্তরের সংযোগের সেতু, সম্পর্কের নতুন খোঁজ। 'অন্তরঙ্গ' থিয়েটারের আঙ্গিকে এমন এক সাবলীলতা আছে যার উপস্থাপন ক্ষেত্র- প্রসেনিয়াম, বা কোনও ঘর অথবা যেকোনও মুক্ত মঞ্চেই হোক না কেন তা নাটকের নিজস্ব আঙ্গিকের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়ে না। এই নাটক চলাকালে অভিনেতা ও দর্শকের সঙ্গে এমন এক আধ্যাত্মিক বা অন্য কোনও অনুভূতি ও সম্পর্কের মেলবন্ধন ঘটে, সেটা একেবারে তার নিজস্ব অনুভূতি। এই অনুভূতি বিশ্লেষণ করা শক্ত। 'অন্তরঙ্গ' থিয়েটার ভাল মন্দ এ প্রশ্ন আপেক্ষিক। তবে এটা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, কিছু মানুষকে এটি অন্য এক অনুভূতির সামনে দাঁড় করায়। একান্তে নাটকের মুহূর্তগুলো অন্তরে অনুরণন তোলে। (ক্রমশঃ)