ভয়াবহ গরম পড়েছে এবং তাপপ্রবাহ চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান-সহ ৯টি জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সানস্ট্রোকের খবর আসছে। মানুষ গরমে শুধুই জল খাচ্ছে আর হাঁসফাঁস করছে। রাতে গরম কমলেও পশ্চিমমুখী ঘর যাদের, সারাদিন সেই ঘর রোদে তেতে থাকছে। সেই ঘর বেডরুম হলে আরও এক উৎপাত। বাংলার মানুষের এতো পয়সা কই, যে এসি কিনবেন। ফলে গলদঘর্ম হয়ে সারাদিনের পর শুতে গেলে, ঘুম ভাঙছে বারবার।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী স্কুলগুলি ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন ২মে থেকে। এতে করে অন্তত বাচ্চারা গরমের হাত থেকে বাঁচলো বলেই দাবি অবিভাবকদের। ইংরেজি মাধ্যমে অবশ্য ভার্চুয়াল ক্লাস চলবে বলে শোনা গিয়েছে। কিন্তু অফিস যাত্রীদের কাছে কোনও বিকল্প আছে কি?
এই প্রবল গরমে যখন তখন জল খাওয়া উচিত নয়। একটু ঠান্ডা হয়ে জল খেতে হবে। সুগারের সমস্যা না থাকলে নুন-চিনি জল খাওয়া ভালো। জলের বোতল নিয়ে কাজে বেরনো বাঞ্ছনীয়। গরমে খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় কিন্তু ডাক্তারবাবুরা বলছেন পেট খালি রাখা একেবারেই উচিত নয়, এতে করে গরম হাওয়া ক্ষতি করতে পারে। তবে হালকা খাওয়া দাওয়া করাটাই উচিত। ভাত, টকের ডাল, সবুজ সবজি খাওয়া উচিত। রান্নাতেও তেল মশলা কম দেওয়া হজমের পক্ষে ভালো।
ছোট মাছ বা জিওল মাছ খাওয়া দরকার। খাবারের সঙ্গে টক দই খাওয়াটাও উপকারী। চা খাওয়া মোটেই খারাপ নয়, এতে কোনও ক্ষতি নেই বলে ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন। রাতের খাওয়াটাও তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। অন্যদিকে বাড়ির থেকে বেরোনোর সময়ে রুমাল দিয়ে নাকমুখ ঢেকে বেরনো বাঞ্ছনীয়। অনেকেই মাথা ঢেকে বেরোন, যেমনটি করোনা আবহে করেছেন। সারাদিনে দু'বার স্নান করতে সমস্যা নেই। মোটের উপর শরীরকে যতটা ঠান্ডা রাখা যায় ততই ভালো