২৯ মার্চ, ২০২৪

Cinema: সিনেমার জন্ম ও টকি সিনেমার আবির্ভাব (২য় পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-20 18:48:57   Share:   

সৌমেন সুর: ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ম্যাডানের উদ্যোগে এলফিন স্টোন পিকচার প্যালেসে হলিউডের ইউনিভার্সাল কোম্পানির 'মেলোডি অফ লাভ' দেখানো হয়।  এটাই ভারতে প্রদর্শিত প্রথম সবাক ছবি। এই সবাক ছবিটি সিনেমার বদল ঘটায়। কারণ সাউন্ড এসে যাওয়ায় পুরোনো যন্ত্রপাতি সব অকেজো হয়ে যায়। নতুন যন্ত্র, নতুন sound proof ষ্টুডিও এবং দক্ষ কলাকুশলীর প্রয়োজন হয়। তখন থেকেই চলচ্চিত্র, শিল্প হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপের চেহারা নেয়।

১৯৩১ সালের ১১ই এপ্রিল ম্যাডানের প্রযোজনায় প্রথম বাংলা সবাক ছবি 'জামাইষষ্ঠী' মুক্তি পায় এবং একই বছরে প্রথম হিন্দি সবাক ছবি 'আলম আরা' বোম্বেতে প্রদর্শিত হয়। সিনেমাকে আরও স্বাভাবিক, প্রাণবন্ত ও জীবনের কাছাকাছি আনার কাজটা শুরু করেছিলেন বিদেশ থেকে লেখাপড়া শিখে আসা ইঞ্জিনিয়র বি. এন সরকার ও তাঁর নিউ থিয়েটার্স। তিনি বিদেশ থেকে শিখে আসা জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগালেন, আবার আমেরিকা থেকে দক্ষ কারিগর এনে প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করেন। এদিকে ম্যাডান কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলা ছবিতে আর তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। বরং বাংলা ছবি পরবর্তী কয়েক দশকে, নিউ থিয়েটারর্সর প্রভাবে সুদূরপ্রসারী হয়। এছাড়া আরও কয়েকটা ছোটোখাটো কোম্পানি গড়ে ওঠে তখন - রাধা ফিল্মস, ভারতলক্ষী পিকচার্স, কালী ফিল্ম ইত্যাদি। এদিকে বি. এন সরকার নিউ থিয়েটার্সে ধীরে ধীরে কিছু দক্ষ ও গুণী মানুষজনকে হাজির করলেন। 

যেমন পরিচালনার জন্য আনলেন দেবকী কুমার বসু, প্রমথেশ বড়ুয়া, আরও কয়েকজন জ্ঞানী মানুষকে। ক্যামেরায় নীতিন বসু, শব্দ যন্ত্রে মুকুল বসু- এঁরা দুজনেই সত্যজিৎ রায়ের কাকা, অভিনয়ে কানন দেবী, প্রমথেশ বড়ুয়া, ডি. জি, পাহাড়ি সান্যাল, ছবি বিশ্বাস, কে. এল. সায়গল, প্রমুখ। সংগীতে পঙ্কজ মল্লিক, এস. ডি. বর্মন, কৃষ্ণচন্দ্র দে, কমল দাশগুপ্ত এবং প্রথিতযশা বাংলা সাহিত্যের কবি লেখকদেরও সিনেমা নির্মাণের কাজে নিযুক্ত করেন। ১৯৩২ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁরই লেখা 'নটীর পূজা' চলচ্চিত্রায়িত করেন।

(চলবে)        


Follow us on :