বলিউড ইন্ডাস্ট্রির মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানের চিন্তাভাবনা, চালচলন সব কিছুই সবার থেকে আলাদা। অভিনয়, খাওয়াদাওয়া, ডায়েটিং, ফিটনেস সব ক্ষেত্রেই তাঁর ধ্যানধারণা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফিটনেস ও ডায়েটিং সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে আমির তাঁর ভক্তদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, শুধু জিমে গিয়ে শারীরিক কসরত করলেই হবে না, এর সঙ্গে খাওয়াদাওয়া ও বিশ্রামের বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে। আমিরের মতে, জিমে গিয়ে নানান শারীরিক কসরত করার পর স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। একেবারে ঘড়ি ধরে প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমোতে হবে।
এগুলো না করলে যতই ওয়ার্কআউট করা হোক না কেন, কাজের কাজ কিছু হবে না। আমিরের মতে, যাঁরা ওজন কমাতে আগ্রহী, তাঁদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, আমাদের ওজন কমাতে হলে পঞ্চাশ শতাংশ ডায়েটিং, পঁচিশ শতাংশ ফিটনেস এবং পঁচিশ শতাংশ বিশ্রামের বিষয়ে নজর দিতে হবে। আমির আরও বলেছেন, বিভিন্ন স্টাররা আলাদা আলাদা ডায়েট অনুসরণ করে। কেউ খালি পেট রেখে খিদে চেপে কম খায়। কেউ হাই প্রোটিন ডায়েট অনুসরণ করে, কেউ আবার ভাত খায় না। আমির জানিয়েছেন, তিনি এসব করেন না।
ক্যালোরি কাউন্টের যেটা পুরনো সিস্টেম, তিনি সেটাই অনুসরণ করে থাকেন। সেটা হল, দিনে যদি কেউ দুই হাজার ক্যালোরি বার্ন করে, তবে সে দেড় হাজার ক্যালোরি খাবার খেতে পারে। আর খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে পুরো ফ্যাট, পুরো প্রোটিন বা পুরো কার্বহাইড্রেড খেলে চলবে না। তার সাথে ফাইবার, সোডিয়াম সব কিছুর প্রয়োজন আছে। আমিরের মতে, শরীরে আমাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে সব কিছুরই প্রয়োজন আছে। যেরকম শতকরা কুড়ি শতাংশ ফ্যাট খাওয়া উচিত। কারণ শরীরে এরও উপযোগিতা আছে। তিরিশ শতাংশ প্রোটিনের প্রয়োজন এবং পঞ্চাশ শতাংশ কার্বহাইড্রেডেরও প্রয়োজন আছে।
আমির আরও বলেছেন, আমি দেখেছি যে, অনেকে ভাত খান না, কিন্তু সেটা ঠিক নয়। কার্বহাইড্রেডের প্রয়োজন আছে শরীরে। এর থেকে আমরা কাজ করার শক্তি অর্জন করি। আমাদের মস্তিষ্কে যে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তা, সেটা কার্বহাইড্রেড থেকে পাই। নয়তো আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক করে কার্যসম্পন্ন করতে পারবে না। তাই ব্যালান্স ডায়েটের খুব প্রয়োজন বলে আমির মনে করেন। এটাই হল হেলদি ডায়েট।
আমির বলেছেন, তিনি নিজে সব কিছুই খান, তবে পরিমাণ মতো। আমির আরও বলেছেন, যদি কেউ ওজন বাড়াতে চান, তবে তাঁকে এর উল্টোটা করতে হবে।