Share this link via
Or copy link
বৃহস্পতিবার বিকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় দিল্লি এসে পৌঁছন, সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে 'পার্থ কাণ্ডের'র পর দলের কন্ট্রোল অনেকটাই নিয়েছেন অভিষেক। নতুন যে মন্ত্রীরা রাজ্য ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত হলেন, তাঁরাও নাকি সকলেই অভিষেক ঘনিষ্ঠ। এক ব্যক্তি এক পদের ফর্মুলাতে এবার নাকি দল চলবে। যিনি প্রশাসনে থাকবেন, তাঁকে প্রশাসনিক কাজ করতে হবে। যাঁরা সংগঠনের দায়িত্বে এসেছেন, তাঁরাই দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখবেন। এবারে জেলায় জেলায় যে পরিবর্তন হল, তার অনেকটাই ব্র্যান্ড অভিষেকের ফর্মুলাতে হয়েছে বলেই ঘাসফুলের অন্দরে সংবাদ। ফলে একদিকে টিম নবান্নতে যেমন অভিষেকের নজর থাকবে, তেমনই দলের অন্দরেও নাকি চলবে নজরদারি।
বাকি ছিল পার্লামেন্টের সদস্যদের দায়িত্ব। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে মমতা থাকলেও, সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন অভিষেকই। সেদিন রাতেই তৃণমূলের সব সাংসদ একত্রিত হন সুখেন্দু শেখর রায়ের বাড়িতে। লোকসভায় দলের চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা সকলের সঙ্গেই সামান্য কিছু কথাবার্তা সারেন। এরপর সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিষেক।
উপস্থিত ছিলেন সকলেই, নতুন সংযোজন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবং বিজেপি ফেরত অর্জুন সিং। সংসদের অবস্থান প্রথমে জেনে অভিষেক তাঁদের অভিযোগের সুরে পরিষ্কার জানান, যে ভাবে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্য দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সংসদের দুই কক্ষে সোচ্চার হতে হবে। বক্তা হিসেবে থাকবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মহুয়া মৈত্রদের মতো বাগ্মি সাংসদরা।
সংসদীয় রাজনীতিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শত্রুঘ্ন সিনহার ভাষণের উপরেও দলের আস্থা আছে। এবার ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং অবশ্য বিরোধী বেঞ্চে বসবেন। অর্থাৎ তাঁর প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখবে ট্রেজারি বেঞ্চ।এদিকে, 'মা কালী' নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মহুয়া মৈত্রকে দেখা গিয়েছিল সকলের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠতে। শোনা গিয়েছে উপরাষ্ট্রপতির ভোটে নাকি শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু দিল্লি আসছেন। তিনি এখনও তৃণমূলের সাংসদ। কিন্তু এই ভোটে তো তৃণমূল অংশ নিচ্ছে না।
দিব্যেন্দুর সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিনিও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের অনুশাসন মেনে ভোটে অংশ নিচ্ছেন না। অন্যদিকে শিশির অধিকারীও ভোট দেবেন না বলে খবর।