প্রসূন গুপ্ত: সিএন পোর্টালে আগেই সম্ভাবনাময় মন্ত্রীদের (probable Minister) একটি তালিকা (List) দেওয়া হয়েছিল। কার্যক্ষেত্রে সেটা বাস্তব রূপ নিতে চলেছে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে ৫ এবং রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ৩ জন ঢোকার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও চূড়ান্ত ঘোষণার আগে পর্যন্ত সঠিক চিত্র স্পষ্ট হবে না। তবে যেহেতু বুধবার বিকেলে শপথ গ্রহণ, এতক্ষণে তাই নতুন মন্ত্রীদের কাছে শপথ অনুষ্ঠানের (Oath) জন্য আমন্ত্রণ চলে গিয়েছে রাজ ভবন (Rajbhaban) থেকে। এখন দেখার কাদের কাদের মমতা মন্ত্রিসভার নতুন মুখ হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল এল গনেশন।
সম্ভবত বাবুল সুপ্রিয়, পার্থ ভৌমিক, স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, উদয়ন গুহরা ক্যাবিনেটে মন্ত্রী হতে পারেন। রাষ্ট্রমন্ত্রীর তালিকাতে পূর্ব মেদিনীপুরের বিপ্লব রায়চৌধুরী-সহ প্রমুখ ৩ জনের নাম থাকার সম্ভাবনা। কোনও সূত্রই বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের নাম নিশ্চিত করেনি রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য সদস্য হিসেবে। তবে তাঁকে মন্ত্রিসভায় না রাখা হলেও, অন্য বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। শাসক শিবির সুত্রে এমনটাই খবর।
দমদম-ব্যারাকপুরের জেলা সভাপতি নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি যদি মন্ত্রিসভায় আসেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠবে, দমদম-ব্যারাকপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশে তৈরি হওয়া শূন্যস্থানে কে বসবে? সেখানেও দায়িত্বপূর্ণ কোনও নেতার নাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে সাংগঠনিক বৈঠকে।
মমতা মন্ত্রিসভা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের সৌমেন মহাপাত্রের বিদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে নাম রয়েছে। তাঁকে অবশ্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। সরতে পারেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীও। তৃতীয় নামটি হয়তো হুগলির রত্না দে নাগের। রত্নাদেবী এর আগে লোকসভার সদস্য ছিলেন দুই পর্বে। ২০১৯-এ পরাজিত হয়েছেন হুগলি কেন্দ্রে। পরে হুগলির এক কেন্দ্র থেকে জিতেছেন বিধানসভা ভোটে। যদি মন্ত্রিত্ব যায়, জেলারই অন্য কোনও দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি।
পাশাপাশি একাধিক দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের ভার লাঘব হতে পারে এদিনের রদবদলে। ববি হাকিম একাধারে কলকাতার মেয়র অন্যদিকে পরিবহণ, নগরোন্নয়ন, পৌর দফতরের মন্ত্রী। তাঁর দায়িত্ব কমার সম্ভবনা। বাকি একাধিক দফতর যাঁদের হাতে আছে, তাঁদেরও দফতর কমতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে পুরো বিষয়টার উপর থাকা ধোঁয়াশা সরতে বুধবার বিকেল।