ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ছোটবেলা থেকেই খুব খাদ্যরসিক ছিলেন। দিল্লির পাঞ্জাবি পরিবারের ছেলে বিরাট। ভোজনরসিক বাবার রসনাতৃপ্তির জন্য বিরাটের মাকে নানা রকমের সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে হতো। রাজমা কারি, ছোলে মশালা, চিকেন কারি, মটন মশালা, পোলাও ইত্যাদি তৈরি করতে হতো। মায়ের হাতের সেইসব সুস্বাদু খাবার খেয়েই ছোটবেলা থেকে বিরাটের খাবারের প্রতি প্রবল অনুরাগ জন্মায়।
একটু বড় হওয়ার পর বন্ধুদের সাথে ঘুরে ঘুরে দিল্লির লোভনীয় স্ট্রিট ফুড খেয়ে বেড়াতে বেড়াতে পুরোদস্তুর খাদ্যরসিকে পরিণত হয়ে যান তিনি। দিল্লির ছোলে বাটুরে, বাটার চিকেন, বাটার নান, মটন রোল, দিল্লির বিখ্যাত পরোটা গলির দেশি ঘিয়ে ভাজা পরোটা়, রকমারি কাবাব, বিরিয়ানি, মালাই দেওয়া লস্যি, গরমাগরম গুলাব জামুন, জিলিপি এসব ছিল বিরাটের প্রাণাধিক প্রিয়।
কিন্তু ধীরে ধীরে শারীরিক ফিটনেস বাড়াতে মনোযোগী হন। নিজের ফিটনেস বাড়াতে বিরাট একে একে নিজের প্রিয় মশলাদার আমিষ খাবারগুলো পরিত্যাগ করতে শুরু করেন। ২০১২ সালে তাঁর পরম প্রিয় বাটার চিকেন, মটন রোল, বিরিয়ানি, কিমা মশালা প্রভৃতি মশলাদার আমিষ খাওয়া ছেড়ে দেন। তারপরে আস্তে আস্তে ২০১৭-১৮ সালে পুরোপুরি নিরামিষাশী হয়ে যান। এমনকি মশলাদার কোনও আমিষ খাবারও তিনি স্পর্শ করেন না। বিরাট এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আমিষ ছেড়ে নিরামিষাশী হওয়ার পর তাঁর ফিটনেস আগের থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছে। পাচনশক্তি বা হজম ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে। এর প্রভাব খেলাতেও পড়েছে।