Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: মানুষের জীবনে সবচেয়ে সুন্দর সময় হলো শৈশব। কোন পিছুটান নেই। শুধু খেলা, মজা আর আনন্দ। তবে সবার জীবন সমান নয়। কারো কারো জীবনে আনন্দের লেশমাত্র নেই। প্রখ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছেলেবেলা কেমন ছিল সেটাই আজ আলোচনা করবো।
বিদ্যাসাগরের পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স যখন ২৩ কি ২৪, তখন গোঘাটের রামকান্ত তর্কবাগীশের মেয়ে ভগবতী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ১৮২০ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর ঠাকুরদাসের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এই সুখবরটা ছেলে ঠাকুরদাসকে জানাবার জন্য রামজয় কোমরগঞ্জে রওনা দেন, যেখানে ঠাকুরদাস কাজের সুবাদে থাকেন। পথে রামজয়ের সঙ্গে ছেলের দেখা হয়ে যায়। রঙ্গ করে তিনি বলেন, 'বাড়ি এসো। একটা এঁড়ে বাছুর হয়েছে।' ঠাকুরদাস রঙ্গটা ধরতে পারেননি। তিনি বাড়ি ফিরতেই হাসতে হাসতে রামজয় ঠাকুর দাসকে নবজাতকের মুখ দেখিয়ে বললেন, 'একে আমি এড়েঁ বাছুর বলেছিলাম। কারণ এই ছেলে এঁড়ে বাছুরের মতো একগুঁয়ে হবে, যা ধরবে তাই করবে। কাউকে ভয় করবে না। ও হবে ক্ষণজন্মা, প্রথিতযশা। ওর জন্য আমার বংশ ধন্য হবে। ওর নাম রাখা হোক ঈশ্বরচন্দ্র।'
পাঁচ বছর বয়সে ঈশ্বরচন্দ্রকে ভর্তি করানো হলো গ্রামের কালীকান্ত চ্যাটার্জির পাঠশালায়। পড়াশোনায় তাঁর ছিল ভীষণ টান। পাশাপাশি দুষ্টুমিতে ছিলেন তুলনাহীন। (চলবে) তথ্যঋণ/ দেবশ্রী ভট্টাচার্য